"ভারত (India) - বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্তে এক হাজার কিলোমিটার রয়েছে, যেখানে কোনো ফেন্সিং নেই। কারণ রাজ্য সরকার চায় না এই ফেন্সিং হোক। আর ওই জায়গা দিয়েই বাংলাদেশে থেকে রোহিঙ্গারা এসে এই রাজ্যের ভোটার হচ্ছে।" বুধবার সকালে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত ফুলবাড়ির বাংলাবান্ধা চেকপোস্ট এলাকা পরিদর্শনে এসে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর আরও অভিযোগ, "আগে বাম আমলে রোহিঙ্গাদের রাজ্যে নিয়ে এসে ভোটার করা হত। এখনও সেই একই ভাবে অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্যে নিয়ে এসে ভোটার করা হচ্ছে। এই বছর ভোটার তালিকায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ রোহিঙ্গার নাম তোলা হয়েছে।"
দিলীপ বলেন, "শুধু রোহিঙ্গারাই নয়, সীমান্ত দিয়ে যেভাবে উগ্রপন্থী ও সমাজ বিরোধীদের প্রবেশ ঘটছে তা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, সীমান্ত এলাকাতে সমাজবিরোধী কাজ হচ্ছে। এর ফলে সমাজে একটা কুপ্রভাব পড়বে।" তবে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সীমান্তের যে সমস্ত জায়গায় ফেন্সিং নেই, সেখানেও বেড়া দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস তাঁর। একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আগের চেয়ে অনেক বে কশিড়াকড়ি করেছে, আগামিদিনে তা আরও বাড়ানো হবে।"
অন্যদিকে এদিনই শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে এক চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীর জেলে যাওয়ার ইচ্ছা আমরা পূরণ করব। তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে তার জন্য ভোটের পর ওদের জেলে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে গুলি আর বোমার সংস্কৃতি তৃণমূল নিয়ে এসেছে, আর তাই মানুষ এর থেকে এখন মুক্তি চাইছেন।" তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল থেকে প্রতিদিনই প্রচুর নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগদান করছেন। তাঁরা জানেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, তা সত্ত্বেও তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করছে।" পাশাপাশি নেতাজির জন্মদিনে কেন্দ্রের পরাক্রম দিবস পালনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ বলেন, "নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্বাধীনতার জন্য পরাক্রম দেখিয়েছিলেন। এছাড়াও যুবদের কাছে তিনি প্রেরণা। তবে ভোটের আগে হওয়ায় আলোচনা হচ্ছে। কেন্দ্রে আমাদের সরকার আসার পর প্রচুর গুপ্ত ফাইল প্রকাশ্যে এসেছে, আগামিদিনে আরও আসবে।"