তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠল। তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী গীরিন বর্মনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বাড়ি ফেরার পথে শীলডাঙ্গাতে আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। তৃণমূল এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবাদে মাথাভাঙ্গা মহকুমা শাসকের অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মাথাভাঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গিরীন্দ্রনাথ বর্মন নিজের নির্বাচনী কাজকর্ম শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই পথে শিলডাঙ্গা এলাকায় আক্রান্ত হন। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শীতলখুচি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় মাথাভাঙ্গা সদর মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন।
তিনি দাবি করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। পার্থপ্রতিম বাবু জানান, বিজেপি নির্বাচনে হেরে যাবে বুঝে এভাবে সন্ত্রাস করছে।
তাঁর অভিযোগ, রাতে দলের এজেন্টদের সঙ্গে মিটিং করে যখন ফিরছিলেন, তখন গিরীন্দ্রনাথবাবুর ওপরে হামলা করে বিজেপি। তিনি আরও জানান, তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাহুলকুমার রায়ের অভিযোগ, গিরীনবাবুকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল। মাতায ১৪টি সেলাই নিয়ে তিনি ভর্তি রয়েছেন এমজেএন মেডিক্য়াল কলেজে।
বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তীর দাবি, এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি কর্মীরা সন্ত্রাস করছে। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গা এলাকায় রোড শো করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন তিনি। আজ রাতেই হামলার ঘটনার ঘটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর ওপরে।
এদিকে, জানা গিয়েছে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তা দেখা হচ্ছে। রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক গোলমাল, মারামারির ঘটনা ঘটছে। এই জেলায় এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর এর জেরে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
তাঁরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে এই ঘটনা বন্ধ করার দরকার। বার বার বলা হলেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এমন ঘটনা হবে না বলে পুলিশ-প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। তবে তাতেও মানুষের মন থেকে ভয় কাটেনি।