বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা আসছেন তাঁদের প্রচারে। রবিবার রাজ্যে আসছে জেএনইউ-এর প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া, ছাত্রনেতাদের একটি দল।
তাঁরা হাওড়ার বালি এবং বর্ধমানের জামুড়িয়াতে প্রচার চালাবেন বাম প্রার্থীদের হয়ে। সেখানকার সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী হলেন এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর এবং ঐশী ঘোষ।
ঘটনা হল, জেএনইউ থেকে যাঁরা আসতে চলেছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই মাতৃভাষা বাংলা নয়। তাহলে কেন তাঁদের প্রচারে আনা হচ্ছে? এর পেছনে কারণ রয়েছে। বেশ বুঝেশুনেই এ কাজ করা হয়েছে বলে খবর।
কারণ বালি এবং জামুড়িয়া- এই দুই বিধানসভায় অবাঙালি মানুষের সংখ্যা প্রচুর। তাঁদের মাতৃভাষা বাংলা নয়। অনেকের মাতৃভাষা হিন্দি। তাই তাঁদের কাছে আরও সহজে নিজেদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে হিন্দিতে বক্তৃতা করা হবে।
সভা-সমিতিতে হিন্দিতে বক্তব্য পেশ করা হবে, প্রচার চালানো হবে। এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারা। একদিকে, সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাবে। এবং অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, সহকর্মী, সতীর্থ, যাঁরা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের প্রচারের কাজও সেরে ফেলা যাবে।
এসএফআই সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানান, জেএনইউ-এর একদল পড়ুয়া, ছাত্রনেতা ঐশী ঘোষ এবং দীপ্সিতা ধরের সমর্থনে প্রচারে আসবেন। রবিবার তাঁরা বাংলায় আসবেন। এবং তাঁদের বন্ধু, সহকর্মীদের সমর্থনে প্রচারের ময়দানে নামবেন।
একুশের বিধানসভা ভোটে বামেরা অনেক তরুণ প্রার্থী দিয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে রেকর্ড বললে ভুল বলা হবে না। যেমন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক, সভাপতি এবং ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক এবং সভাপতি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তেমনই এসএফআই, ডিওয়াইএফআইয়ের আরও অনেক নেতাকে ভোটে প্রার্থী করা হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডের সমাবেশ ক্ষণিকের জন্য সঞ্চালনার দায়িত্ব এবং বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেয়েছিলেন ওই দুই ছাত্রনেত্রী। সাধারণত ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে তরুণ কাউকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় না। তবে এবার তার ব্যতিক্রম দেখা গিয়েছিল।
বামেদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তাঁদের কোনও তরুণ মুখ নেই। তরুণদের সমানে রাখা হয় না। কিন্তু বামেদের পাল্টা বক্তব্য, এরকম করে নেতা তৈরি হয় না। তাঁদের দলের নেতা তৈরি হয় মাঠে-ঘাটে লড়াই আন্দোলনের মাধ্যমে। কাউকে নেতা বানিয়ে দেওয়া হয় না।