Advertisement

পাহাড়ে বিমল-বিনয়ের ফলের উপর নির্ভর করবে তৃণমূলের সঙ্গে কাদের জোট থাকবে

পাহাড়ে কার সঙ্গে তৃণমূলের জোট টিঁকবে তার ভবিষ্যত নির্ভর করছে নির্বাচনে পাহাড়ের ফলের উপর। বিমল গুরুং না বিনয় তামাং কারা জিতছে পাহাড়ে, তাই এখন নজরে রয়েছে সকলের। 

বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 29 Apr 2021,
  • अपडेटेड 4:40 PM IST
  • পাহাড়ের ফলই নির্ণায়ক তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে
  • বিনয়-বিমল দুজনেই মরিয়া ক্ষমতা প্রদর্শনে
  • সমর্থনের প্রশ্নে পাহাড় তৃণমূলে ভাঙন

পাহাড়ে কার সঙ্গে তৃণমূলের জোট টিঁকবে তার ভবিষ্যত নির্ভর করছে নির্বাচনে পাহাড়ের ফলের উপর। বিমল গুরুং না বিনয় তামাং কারা জিতছে পাহাড়ে, তাই এখন নজরে রয়েছে সকলের। 

তৃণমূলের নীতি

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) প্রার্থীদের ঘোষণা  করে দিয়েছিলেন, দার্জিলিং পাহাড়ে তিনি "বন্ধুদের" জন্য তিনটি আসন রেখেছেন। নিজেরা প্রার্থী দেননি। বরং দুই সহযোগীর উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেউই কোনও আসন ছাড়তে রাজি না হয়ে পাহাড়ের তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছেন তাঁরা। ফলে নীতিগতভাবে চুপচাই ছিলেন তাঁরা।

দিশাহারা পাহাড় তৃণমূল

পাহাড় তৃণমূল নির্বাচনী কাজ করতে গিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে। তার কারণ, কাকে সমর্থন করতে বলবেন বুঝতে না পেরে দল ছাড়েন দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা পাহাড় তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রাজেন মুখিয়া। তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রীরাও কি করবেন বুঝতে পারেন না। শেষমেষ মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাইকে সঙ্গে নিয়ে শান্তাদেবীরা বিমল গুরুংদের সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন। অভিযোগ ওঠে বিনয় তামাংরা তৃণমূলকে ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও পাহাড় তৃণমূলের নেতা বিন্নি শর্মা বিনয়দের পাশে দাঁড়ান ও পাহাড়ে ধারাবাহিক অশান্তির সময় বিনয়দের অবদানকে মনে রাখার পরামর্শ দেন।

আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা

আধিপত্যের জন্য মোর্চা নেতা গুরুং এবং তামাং তীব্র প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। বিজেপি ও জিএনএলএফ এর জোটও মরিয়া চেষ্টা করেছে পাহাড়ে আসন বাড়ানোর। যদি বিজেপি পাহাৈড়ে তিনটি আসনই জেতে, য়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, তাহলে দুই মোর্চারই অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

মমতা এবং জিজেএম

বিমল গুরুং ২০১৭ সালের জুন মাসে গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলনের পরে একের পর এক মামলার গেরোয় পড়ে আত্মগোপনে চলে যান।  সেই সময় বিনয় তামাং বিমল গুরুংকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। সঙ্গে বহিষ্কাকর করেন রোশন গিরিকেও। এরপর রাজ্যের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। যা সব মহলের প্রশংসা অর্জন করে। এরপর ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে কলকাতায় বিমল গুরুংকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। তিনি এনডিএ ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিএমসির সাথে জোট করার ঘোষণা করেছিলেন। ফিরে এসে তিনি বলেন, তাঁরাই মূল জিজেএম বা গোর্খা জনমুক্তি  মোর্চা। যে বিতর্কের অবসান এখনও হয়নি। তাই কোনও পক্ষই এবারের নির্বাচনে নিজেদের প্রতীক পায়নি। নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

বিমল গুরুং ফ্যাক্টর

বিমল গুরুং দীর্ঘকাল ধরে জিটিএ অঞ্চলে একটি প্রভাবশালী নেতা। বিজেপির প্রতি তার সমর্থন ২০০৯ সালে দলটি দার্জিলিং লোকসভা আসনে জিতেছিল। তবে তখন বিনয় তামাং, অনিত থাপারাও দলে ছিল। তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে তাঁরা আলাদা হয়ে যাওয়ায় কারও শক্তি তেমন পরীক্ষিত নয়। ২০১১ সালে গুরুং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছিলেন। যখন তিনি বাংলার নির্বাচনে বামফ্রন্টকে পরাজিত করেছিলেন। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) পরবর্তীকালে গুরুংকে এর প্রধান হিসাবে গঠন করা হয়েছিল।

রাজ্যের সঙ্গে বিমলের দূরত্বের সূত্রপাত

যাইহোক, ২০১৩ সালে বিমল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়ালকে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে অনাস্থা প্রকাশ করেন। তারপরই তাঁরা নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। জিটিএ থেক ইস্তফাও দেন। তারপর দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর তৃণমূলের তরফে ফের বিমলকে সামনে রেখে নির্বাচনী বৈতরণী পার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

খবরটি ইংরেজিতে পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement