Advertisement

Humayun Kabir Candidate Controversy: নিশা 'OUT', আবুল 'IN', বালিগঞ্জে হুমায়ুনের প্রার্থী এবার প্রাক্তন পুলিশকর্তা

সোমবার মুর্শিদাবাদে একের এক চমক দিয়ে নিজের নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটান হুমায়ুন কবীর। সেদিন হুমায়ুন মঞ্চে জানিয়েছিলেন, বালিগঞ্জে লড়বেন নিশা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নতুন দল তৈরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিশার নাম প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। কলকাতাবাসী ওই মহিলা জনতা উন্নয়ন পার্টি (জেইউপি)-র প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন হুমায়ুন কবীর। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সমাজমাধ্যমে নিশা চট্টোপাধ্যায়ের বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে৷ ওই ভিডিওগুলির রুচি এবং সংস্কৃতি তাঁর দলের আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না৷ সেই কারণেই প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি জানিয়ে দেন সাতদিনের মধ্যে বালিগঞ্জে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। সেইমতো নতুন নামও ঘোষণা করে দিলেন জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।

বালিগঞ্জে কাকে প্রার্থী করলেন হুমায়ুন?বালিগঞ্জে কাকে প্রার্থী করলেন হুমায়ুন?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Dec 2025,
  • अपडेटेड 1:09 PM IST

সোমবার মুর্শিদাবাদে একের এক চমক দিয়ে নিজের নতুন দল জনতা উন্নয়ন পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটান হুমায়ুন কবীর। সেদিন হুমায়ুন মঞ্চে জানিয়েছিলেন, বালিগঞ্জে লড়বেন নিশা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু নতুন দল তৈরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিশার নাম প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি।  কলকাতাবাসী ওই মহিলা জনতা উন্নয়ন পার্টি (জেইউপি)-র প্রার্থী হচ্ছেন না বলে জানিয়ে দেন হুমায়ুন কবীর। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সমাজমাধ্যমে নিশা চট্টোপাধ্যায়ের বেশ কিছু ভিডিও সামনে এসেছে৷ ওই ভিডিওগুলির রুচি এবং সংস্কৃতি তাঁর দলের আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না৷ সেই কারণেই প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি জানিয়ে দেন সাতদিনের মধ্যে বালিগঞ্জে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। সেইমতো নতুন নামও ঘোষণা করে দিলেন জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার আবুল হাসান। নিশার জায়গায় তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন হুমায়ুন কবীর। মঙ্গলবার হুমায়ুন কবীর নিজেই জানিয়েছিলেন, ওই কেন্দ্র থেকে এবার মুসলিম প্রার্থী দেওয়া হবে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যেই সেই নাম ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত,  হুমায়ুন নিশাকে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী বলে ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সমাজমাধ্যমে ওই মহিলার বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। সে সব দেখেই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন হুমায়ুন। তাঁর কথায়, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর অঙ্গভঙ্গি ভাল নয়। বিধানসভার মতো পবিত্র জায়গায় এঁরা অযোগ্য। সাত দিনের মধ্যে বালিগঞ্জে কোনও মুসলিম প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেব।’ সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘গতকাল সন্ধেবেলা বালিগঞ্জের প্রার্থী হিসেবে নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছিলাম৷ কিন্তু সন্ধে হতেই তাঁর বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে কে কী করবেন, কী খাবেন, কী পরবেন, কোথায় যাবে তার ব্যাপার। কিন্তু আমার মনে হয়েছে আমার দলের প্রার্থী বা শুরুটা এমন করা উচিত হবে না। তাই সঙ্গে সঙ্গেই আমি প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তৃণমূলের বিভিন্ন আইটি সেলের পক্ষ থেকে ফেসবুকে তাঁর ছবি ভাইরাল করা হয়েছে৷ তাতে মনে হয়েছে আমার দলের শুরুতে এ ধরনের কোনও ব্যক্তিকে বিধানসভার মতো পবিত্র স্থানে পাঠানোর চেষ্টা করলে জন্য মানুষ আমাকে ভুল বুঝতে পারে। তাই আমি সিদ্ধান্ত বদল করেছি।’ 

Advertisement

এদিকে নিশা চট্টোপাধ্যায় হুমায়ুন কবীরের এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি নিজে কোনও আবেদন করেননি। পারিবারিক বন্ধু হিসেবে হুমায়ুন কবীরই তাঁকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। নিশার অভিযোগ, প্রার্থী ঘোষণা এবং প্রত্যাহার দুটোই ছিল হুমায়ুন কবীরের তাড়াহুড়ো ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। তাঁর বক্তব্য, 'কোনও নারী কীভাবে জীবনযাপন করবেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কী পোস্ট করবেন, তা সেন্সর করার অধিকার কারও নেই।' আরও এক ধাপ এগিয়ে নিশা চট্টোপাধ্যায়  দাবি করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি আসলে অজুহাত মাত্র। তাঁর মতে, প্রার্থীপদ বাতিলের  প্রকৃত কারণ তিনি হিন্দু। নিশার অভিযোগ, যদি দলটি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষ হত, তবে তাঁকে এইভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হত না। এই সিদ্ধান্তের জেরে তিনি সামাজিক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি করেন।

Read more!
Advertisement
Advertisement