ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি (Abbasuddin Sidiqui)-এর সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার নিউটাউনে এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। এ দিন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
সভায় বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)-এর প্রধান আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, প্রথমত, আমি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের হয়ে লড়ছি। এবং দ্বিতীয়ত, আমি একজন মুসলিম। এই কারণে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ভারত আর পাঁচজনের মতো, তাদের মতো আমারও দেশ। আমি বাঙালি নাগরিক তাদের মতো। কিন্তু আমার কোনও অধিকার নেই। তৃণমূল সরকার ভয় পেয়েছে যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front) বিজেপির বাধা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির রাস্তা সাফ করে দিচ্ছেন।
আব্বাসের আরও অভিযোগ, মমতা সরকার বিজেপিকে সাহায্য করছে। কয়েকজন রাজনৈতিক দলের কর্মীকে সেনা বাহিনীর পোশাক কিনে দেওয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front)-এর নিজামউদ্দিন জানান, আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করব বলে ঠিক করি প্রথমে আমরা পৌঁছে চিনার পার্কো। কিন্তু সেখানে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় না। এরপর যাই রাজারহাট চৌমাথায়। সেখানেও আমরা কোনও অনুমতি পাইনি। এরপর আমরা টেকনোপলিস থানার কাছে যাই। তাঁর অভিযোগ, সেখানে তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের হুমকি দিয়েছে। এবং তাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন পুলিশের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, অনুষ্ঠান করার অনুমতি না-পাওয়ায় তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। প্রতিবাদে পথ অপরোধ করে তারা।
এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front) কর্মী-সমর্থক এবং পুলিশের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তাদের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা পুলিশের সামনেই হুমকি দিয়েছে।
এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে ওই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ) যায়। তারা সেখানে থাকা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (Indian Secular Front) কর্মীদের সরানোর চেষ্টা করে।