পশ্চিমবঙ্গে চতুর্থ দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম দফার মুখেও আত্মবিশ্বাসী বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলছেন, '২০০ আমাদের টার্গেট। ২১৫টি আসনে আমরা পৌঁছবো।'
আরও পড়ুন: শীতলকুচি-মন্তব্য! দিলীপ ঘোষের প্রচার ২৪ ঘণ্টা ব্যান করল কমিশন
আরও পড়ুন: প্রার্থী নন! একুশের ভোটে BJP-র 'তারকা প্রচারক'-এর দায়িত্ব পেলেন দিলীপ
ইন্ডিয়া টুডে ডিজিটালের এগজিকিউটিভ এডিটর দীপ হালদারকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'বিভ্রান্ত' বলেও কটাক্ষ করলেন। ৪ দফা ভোট হয়ে যাওয়ার পরে এই মুহূর্তে আপনি অ্যাসেসমেন্ট করলে বিজেপি কত পাবে? দিলীপের দাবি, 'কিছু মানুষ বলেছিল, বিজেপি ১৬০টি আসনের কাছাকাছি পাবে। আমি তাদের বলি, নির্বাচন যত এগোচ্ছে, প্রতি সপ্তাহে ১০টি করে আসন বাড়িয়ে দাও, মাসের শেষে দেখবে ২০০ আসন হয়ে গিয়েছে। আমরা সাট্টা বাজার কী বলছে, তা নিয়ে ভাবি না। সাধারণ মানুষ কী বলছে, সেটা বড় কথা। সাধারণ মানুষ পরিবর্তন চাইছে। আমরা কী বলছি, তার চেয়েও মানুষ কী বলছে সেটা বড় কথা। জঙ্গলমহল থেকে, অর্থাত্ যখন থেকে ভোট শুরু হয়েছে, আমরা যে ভাবে চেয়েছিলাম, যে দিশাতে নির্বাচন হোক চেয়েছিলাম, সেভাবেই হচ্ছে। এই মুহূর্তে যদি অ্যাসেসমেন্ট হয়, তা হলেও বলছি ২০০ আমাদের টার্গেট, ২১৫ আসনে আমরা পৌঁছবো।'
২০১৬ সালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপরে মানুষের কিছুটা রাগ ছিল। কিন্তু মমতা বলেছিলেন, আপনারা আমাকে দেখে ভোট দিন। সরকার ও নিজের মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি করেছিলেন। এবারও হুইলচেয়ার বা 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়'-- এই বিষয়গুলোয় আবেগের ভোট মমতার দিকে যেতে পারে?
দিলীপের কথায়, 'সরকার ও মমতা দুজনের উপরেই মানুষের বিশ্বাস ভরসা চলে গেছে। একবার মানুষের বিশ্বাস চলে গেলে, আপনি যাই করুন, কোনও কাজ হবে না। এখন তাই হয়েছে। গত নির্বাচনে বিকল্প ছিল না। চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ ছিল না। এখন লোকে বিশ্বাস করেছে, এর চেয়ে ভাল বিকল্প বিজেপি। উনি যে সব স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিলেন, ফেল হয়ে গেছে। এখানে নির্বাচন, উনি কোচবিহারে যাচ্ছেন। আসলে উনি বিভ্রান্ত হয়ে গেছেন। ঠিক করতে পারছেন না কী করবেন। এখন আবার নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করছেন, সব একসঙ্গে করে দাও। আসলে গোল হয়ে গেছে, খেলা শেষ করে দাও।'