রাত পোহালেই ব্রিগেড সমাবেশ। তার আগে সভা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন বামফ্রন্ট (Left Front) চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। শনিবার সভাস্থল পরিদর্শনের পর বিমান বসু জানান, 'অনেকগুলো দল আসছে, তাছাড়া কোভিড প্রোটোকল মানতে হবে। তাই এবার মঞ্চের মাপ করা হয়েছে ৫০X২৪।' বিমানবাবু আরও জানান, তাঁদের তরফে সংগঠিত জমায়েত হচ্ছে সাড়ে সাত লক্ষ মানুষের। এছাড়াও কিছু মানুষ আনবেন। তাছাড়া কংগ্রেস, আইএসএফ সহ অন্যান্য দলেরও কিছু মানুষ আসবেন। সেক্ষেত্রে ব্রিগেডে জায়গা দেওয়া যাবে না বলেই মনে করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। সমস্ত মানুষ যাতে সভার বক্তাদের কথা শুনতে পারেন সেজন্য ৬২০টি মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান বিমান বসু।
আসন্ন নির্বাচনে কর্মী সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে ও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে ব্রিগেডকেই বেছে নিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। নতুন প্রজন্মের নজর টানতে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার। হয়েছে হিট গান টুম্পা সোনার প্যারোডি। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এমনকি বামেদের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশও শেয়ার করেছেন সেই গান। প্রসঙ্গেত এবারে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারের বেশিরভাগ দায়িত্বই ছিল তরুণ প্রজন্মের কাঁধে। সেক্ষেত্রে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সারা হয়েছে ব্রিগেডের প্রচার।
তবে এই সবের মাঝেও একটাই প্রশ্ন বারেবারে ঘুরে ফিরে আসছে বাম কর্মী সমর্থকদের মনে। আজও বঙ্গে যিনি লাল ঝান্ডার মুখ সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কি আনা যাবে সভা মঞ্চে? গতবারের ব্রিডেগ সমাবেশে সভাস্থলে উপস্থিত হয়েও মঞ্চে উঠতে পারেননি বুদ্ধবাবু। তারপর থেকে একাধিকবার অসুস্থ হয়েছেন তিনি। এমনকি গত ডিসেম্বর মাসেও হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে ব্রিগেডে উপস্থিত করানো যাবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না সিপিএম নেতৃত্ব। তবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। যদি বুদ্ধবাবুকে সভাস্থলে নাও আনা যায়, কমপক্ষে তাঁর রেকর্ড করা বার্তা কর্মীদের শোনানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সিপিএম সূত্রে জানা যাচ্ছে। এখন দেখার রবিবাসরীয় ব্রিগেডের রং কতটা লাল হয়।