Advertisement

Nandigram and Bhowanipore: মমতা-অভিষেক-শুভেন্দু এবং ভবানীপুর, নন্দীগ্রাম, ছাব্বিশে কোথায় কে দাঁড়াচ্ছেন?

সব জল্পনা এই 'আমি' ঘিরেই। এর দুটি নির্যাস হয়। 'আমি' মানে এ ক্ষেত্রে বিজেপি-কে সার্বিক ভাবে বোঝাতে চাইছেন শুভেন্দু। অর্থাত্‍ বিজেপি-র যে কোনও প্রার্থীই মমতাকে হারাবেন। আবার দ্বিতীয় হল, শুভেন্দু নিজে দাঁড়াবেন। তাহলে নন্দীগ্রামে কে দাঁড়াবে? নাকি শুভেন্দু দুই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬
অরিন্দম গুপ্ত
  • কলকাতা ,
  • 01 Dec 2025,
  • अपडेटेड 3:59 PM IST
  • ২০২১ সালে বিজেপি-র স্ট্র্যাটেজি ফ্লপ
  • নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুরে কে প্রার্থী
  • শুভেন্দু দুই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন?

পশ্চিমবঙ্গে ছাব্বিশের যুদ্ধে এই মুহূর্তে যে দুই 'রণক্ষেত্র' নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা, সেগুলি হল নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর। রাজ্য রাজনীতিতে ভোটের উত্তাপ এখন দুটি কেন্দ্র ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। এবং তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে এই দুই কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপি-র তরফে ঠিক কারা লড়বেন বা প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি রাখা হলেও, যে নামগুলি নিয়ে চর্চা চলছে, সেগুলি আক্ষরিক অর্থেই হাই প্রোফাইল নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। 

২০২১ সালে বিজেপি-র স্ট্র্যাটেজি ফ্লপ

সার্বিকভাবে যদি দেখা যায়, তাহলে  ২০২১ সালের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটের সঙ্গে কিন্তু ২০২৬ সালের খুব একটা মিল নেই। সে বারও মেরুকরণের রাজনীতি। এবারও তাই। তবে বিজেপির রণকৌশলে খানিক বদল চোখে পড়ছে। একুশে দেখা গিয়েছিল, দল ভাঙানোর হিড়িক। অর্থাত্‍ তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতাদের ভাঙিয়ে বিজেপি-তে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু পরে দেখা গেল, তাতে কাজ হয়নি। ২০২১ সালে ২১৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল তৃণমূল। তারপরে দেখা গেল, যে সব নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন, তাঁরাও একে একে ফিরছেন। সুতরাং বিজেপির কৌশল ফ্লপ। 

নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুরে কে প্রার্থী

এবার আসা যাক নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর কেন্দ্রে। নন্দীগ্রাম শুভেন্দু অধিকারীর যে শক্তঘাঁটি, তা তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছেন। আবার ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র। যে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা, সেখানে হারের পরে ভবানীপুর কেন্দ্রটিই বাঁচিয়ে দেয় তৃণমূলনেত্রীকে। এখন প্রশ্ন হল, ২০২৬ সালে নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুরের লড়াইটা কীভাবে জমজমাট হতে চলেছে। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি তাত্‍পর্যপূর্ণ কথা বললেন। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া নিয়ে অভিষেকের মন্তব্য, 'হয়তো সুকান্ত মজুমদারের এটা গোপন ইচ্ছে, তবে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয় তৃণমূলের উপর ছেড়ে দিন। দল আমাকে যেভাবে কাজে লাগাবে, সেভাবে কাজ করব। দল যদি বলে, নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে, দাঁড়াব। যদি বলে, দার্জিলিংয়ে দাঁড়াতে, তাহলেও সেটাই করব। অন রেকর্ড বলছি।' 

Advertisement

শুভেন্দুর নিশানায় সেই মমতাই

নন্দীগ্রাম কিন্তু প্রেস্টিজ ইস্যু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারের বদলা ২০২৬ সালে নিতে চাইবেনই মমতা। আবার ভবানীপুর নিয়েও শুভেন্দু বারবার 'হারাব, হারাব' হুংকার দিয়ে আসছেন। নন্দীগ্রাম ইস্যুতে অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করতেই শুভেন্দু কিন্তু এড়িয়ে গিয়ে নিশানা ফের মমতার দিকেই রাখলেন। বললেন, 'ভাইপোর কোনও কথার আমি উত্তর দেব না। আমি পিসিমণিকে হারিয়েছি নন্দীগ্রামে, আমি চাই মমতা ভবানীপুরেই দাঁড়ান। উনি যদি মেটিয়াবুরুজে দাঁড়ান, সেটা তো আমাদের হাতে নেই। সেটা মিম বা আইএসএফকে দায়িত্ব নিতে হবে। ভবানীপুরে দাঁড়ালে আমি হারাব।'

শুভেন্দু দুই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন?

সব জল্পনা এই 'আমি' ঘিরেই। এর দুটি নির্যাস হয়।  'আমি' মানে এ ক্ষেত্রে বিজেপি-কে সার্বিক ভাবে বোঝাতে চাইছেন শুভেন্দু। অর্থাত্‍ বিজেপি-র যে কোনও প্রার্থীই মমতাকে হারাবেন। আবার দ্বিতীয় হল, শুভেন্দু নিজে দাঁড়াবেন। তাহলে নন্দীগ্রামে কে দাঁড়াবে? নাকি শুভেন্দু দুই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন। 

আবার অভিষেককে যদি নন্দীগ্রাম আসনে টিকিট দেন মমতা, তাহলে বিধানসভায় অভিষেকের 'অভিষেক' হওয়া খুব মসৃণ হবে না। সাংসদ অভিষেক যদি বিধানসভায় ডেবিউ করেন ২০২৬ সালের ভোটে, তারপর যদি আবার নন্দীগ্রামের মতো সিট পান, তাহলে বড় চ্যালেঞ্জ। পিসির হারের বদলা কি তবে ভাইপো নেবেন?


Read more!
Advertisement
Advertisement