প্রয়াত হলেন শোভারানি মজুমদার। নিমতার বাসিন্দা ৮০ বছরের বৃদ্ধা সম্প্রতি আক্রান্ত হন। অভিযোগ, ছেলে বিজেপি করে বলে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন তিনি। ওই বৃদ্ধার আক্রান্ত হওয়ার ছবি ভাইরাল হল নেট দুনিয়ায়। বিজেপি এটা নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালান। এদিন শোভাদেবীর মৃত্যু খবর পাওয়ার পরেই ট্যুইট করেন বঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। অরবিন্দ মেনন ট্যুইটে জানান, ওম শান্তি! তৃণমূলী গুন্ডাদের হাতে নির্মমভাবে আহত হওয়া ৮৫ বছর বয়সী শোভা মজুমদার আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন!মমতা দিদিকে তার অত্যাচারের জন্য বাংলা কখনই ক্ষমা করবে না!
ট্যুইট বিজেপি নেতাদের
এদিন ট্যুইট করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, টিএমসির গুন্ডাদের নির্মম অত্যাচারে আজ বাংলার কন্যা শোভা মজুমদার মহাশয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই পরিবারের গভীর ক্ষত আর ব্যথা দীর্ঘদিন মমতা দিদিকে বিদ্ধ করবে। হিংসামুক্ত ভবিষ্যত গড়তে,বাংলার মা-বোনেদের জন্য সুরক্ষিত রাজ্য গড়তে বাংলা লড়াই করবে।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, বাংলার মেয়ে আর বেঁচে নেই। তিনি কারোর মা , কারোর বোন ছিলেন। তৃণমূলের ক্যাডাররা তাঁকে নৃশংসভাবে হামলা করেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতি কোনও সমবেদনা জানাননি। এখন তাঁর পরিবারের ক্ষত কে সারাবে। গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি নিমতায় বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদারের বাড়িতে হামলা হয়।
ঠিক কী হয়েছিল
তিনি বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ কয়েকজন ছেলে লাঠি দিয়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙে বাড়িতে এসে আমাকে গালাগালি দিয়ে বলে বিজেপি করিস। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি বিজেপি করে আমার কী অপরাধ? এরপরই হঠাৎ করে আমাকে মারা শুরু করল। রিভলবারের বাট দিয়ে আমার মাথার পিছনে আঘাত করে। এরপর আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার বুকে, পেটে ব্যাথা লাগছিল। যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের আমি চিনি না। তবে তারা অবশ্যই তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন,নিমতায় BJP কর্মী, তাঁর মাকে মারধর, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বললেন, ছোটখাটো ঘটনা, তীব্র বিতর্ক
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানায়, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের ঘটনা সারা উত্তর দমদমের কোথাও হয়নি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর আমাদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি নির্মল কুন্ডু কে খুন করা হয়।তাঁদের আরও দাবি, বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপি এই ওয়ার্ডটা কে দখল করার চেষ্টা করছে। কালকের ঘটনা পুরনো বিজেপি এবং নতুন বিজেপির মধ্যে লড়াই। আসলে আচারের আলোয় আসার জন্য বিজেপি তৃণমূলের উপর দোষ দিচ্ছে বলেও জানান।