ওঁরা তারকা। কেউ বড় পর্দার। আবার কেউ বা ছোট পর্দার। এমন অনেক তারকা এবার ভোটের ময়দানে ছিলেন।
এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তারকাদের প্রার্থী করেছিল। তৃণমূল এবং বিজেপি অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের টিকিট দিয়েছিল। সেখানে বামেরা মাত্র একজন তারকাকে ভোটের টিকিট দিয়েছিল।
তবে দেখা যাচ্ছে, তারকাদের অনেকে পছন্দ করছে না! ভোটের ফলাফল তো তাই বলছে। এর কারণ হল তাঁরা যেখানে ভোটে লড়েছিলেন, সেখানে নোটা পড়েছে।
নোটা মানে নান অব দ্য অ্যাবভ। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রের কোনও প্রার্থীকেই কোনও ভোটারের পছন্দ না হলে তিনি সেখানে ভোট দিতে পারেন। এমনই ব্যবস্থা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন।
আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, তারকা প্রার্থীদেরও পছন্দ করছেন না মানুষ। তারকা-কেন্দ্রেও নোটা পড়েছে। অর্থাৎ মানুষ তাঁদেরও প্রত্যাখান করেছেন।
কোন তারকার কেন্দ্র কত নোটা পড়ল একটু দেখে নেওয়া যাক। সব তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া। দেখা যাচ্ছে, বাম থেকে ডান- সব পক্ষের প্রার্থী কেন্দ্রেই নোটা রয়েছে।
বেহালা পূর্ব থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার। রাত ১০টা পর্যন্ত হিসেব, সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ১.০৯ শতাংশ। ৪৬৯ জন মানুষ নোটায় ভোট দিয়েছেন।
পাশের কেন্দ্র বেহালা পশ্চিম। সেখানেও এক তারকা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি হলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। দেখা যাচ্ছে, ওই কেন্দ্রে নোটায় ভোট পড়েছে ২,২৯৪টি। শতাংশের বিচারে ১.০৬।
শ্যামপুরে বিজেপির তারকা প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। ওই কেন্দ্র নোটায় ভোট পড়েছে ১ হাজার ১৪২টি। শতাংশের হিসেব করলে ০.৫১।
টালিগঞ্জে নোটায় ভোট পড়েছে ১.১৭ শতাংশ। সেখানকার ২,৩১০ জন মানুষ নোটাকে বেছে নিয়েছেন। ওই কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।
আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এবং বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রী পাল। সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ২ হাজার ৯৫১টি, ১.৭৪ শতাংশ।
ভবানীপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ১,৫৭০টি, ১.২৩ শতাংশ।