২৫ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বার্তালাপের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে কিষাণ সম্মান নিধি চালু না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী তোপ দাগেন মমতা সরকারের দিকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বাংলাকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তোপ দেগে বললেন, শুধু কলকাতায় এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্প চালু করেনি।
গত বছরই ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। এখন ভারত সরকারের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই ভূখণ্ড। ২৬ ডিসেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানেই ভারত সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধার কথা বলতে গিয়ে মোদী বলেন, 'দেশের সব জায়গায় এই প্রকল্পের কার্ড দিয়ে চিকিত্সা করাতে পারবেন। দেশের ২৪০০ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে। শুধু কলকাতায় এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্প চালু করেনি। কিছু মানুষ বুঝতে চায় না। কী আর করা যাবে।'
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী মমতাকে সরাসরি খোঁচা দিয়ে বলেন, 'চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লি সর্বত্র চিকিৎসা করাতে পারবেন। শুধু কলকাতাতে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত। কেন্দ্রের এই প্রকল্প এরাজ্যে চালু করেনি মমতা সরকার। সরকারের দাবি, রাজ্যের মানুষদের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এতে সুবিধে অনেক বেশি।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুফলের কথা টেনে প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন,শুধু মাত্র নিজের এলাকা বা রাজ্যেই নয়। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে এই কার্ড দেখিয়ে চিকিত্সা পরিষেবা পেতে পারেন। কয়েক লক্ষ পিছিয়ে পড়া মানুষ এই প্রকল্পের ফলে লাভবান হয়েছে বলে জানান তিনি। মোদীর কথায়, “নিজের রাজ্যেই শুধু নয়, এই কার্ড থাকলে দেশের যে কোনও প্রান্তের সরকারি হাসপাতাল, প্রকল্পের আওতাধীন বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারবেন তাঁরা।” এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বাংলার কথা তুলে আনেন মোদী। এরআগে শুক্রবার দেশের ৯ কোটিরও বেশি কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির ১৮০০০ কোটি টাকা প্রদান করতে নয়া কৃষি আইনের প্রসঙ্গ টেনে মমতা সরকারকে তুলোধনা করেন মোদী। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে বিরোধী গেরুয়া শিবির ততই আক্রমণ শানাচ্ছে রাজ্যে দিকে। শাহ-নাড্ডারা বারাবার রাজ্যে আসছেন। এর মাঝেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।