টলিউডের অভিনেতার জন্মদিনের পার্টি। অথচ সেখানে লাইন দিয়ে এসেছেন তৃণমূলের বেসুরো নেতারা। এমনকি আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। সেই জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। ইদানিং তাঁর বেশ কিছু মন্তব্যে জেরে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জন্মদিনের পার্টিতে এমন অতিথি তালিকা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা অব্যাহত।
কী বলেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল
এ বিষয়ে বাংলার এক সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা রুদ্রনীল বলেন, দক্ষিণ কলকাতার এক অনুষ্ঠান বাড়িতে আমি গিয়েছিলাম। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন। তিনি বরাবরই আমার পছন্দের একজন নেতা। রাজনৈতিক বিষয়েও কথা হয়। উনি আমাকে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দিয়েছেন। ওখানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী ছিলেন। পাশাপাশি অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্রও ছিলেন। তবে রাজীব ও শুভেন্দুর একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। শুভেন্দুবাবু আমাকে সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে কাজ করতে বলেছেন। আমিও চাই সক্রিয় ভাবে কাজ করতে। বাকিটা সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন, ''কথা বলতে তো অসুবিধে নেই, তবে এখনও কিছু ভাবিনি'', বিজেপিতে যোগ প্রসঙ্গে রুদ্রনীল
হাজির তৃণমূলের বেসুরো নেতারাও
প্রসঙ্গত রুদ্রনীলকে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনার শেষ নেই। এক সময়ে তিনি সক্রিয় ভাবে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পালাবদলের পরে তিনি যান তৃণমূলে। বর্তমানে ঘাসফুলের অন্দরেই বেসুরো হয়েছেন তিনি। তারপরেই বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। এমনকি বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়েছে বলে খবর। যদিও এই অভিনেতা বিজেপিতে যাবেন কিনা এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি। কিন্তু যেভাবে ইদানিং বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাকে দেখা যাচ্ছে তাতে জল্পনা বহুগুণ বাড়ছে। অন্যদিকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তীরা। প্রসঙ্গত এরা বর্তমানে তৃণমূলে বেসুরো। রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে সমস্ত বেসুরো নেতারা একই জন্মদিনের পার্টিতে আচমকা যাওয়া নিয়েও জল্পনার শেষ নেই। সেই পার্টিতে আবার এসেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি মাসখানেক আগে তৃণমূল থেকে একগুচ্ছ নেতাকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।