এক সময় পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলারই অংশ ছিল এই অঞ্চল। পরবর্তীকালে ২০১৭ সালে এই অঞ্চলকে আলাদা জেলা হিসেবে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। গড়ে ওঠে পৃথক ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা। তারপর থেকে কিছু পাওয়া, কিছু না পাওয়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে ঝাড়গ্রাম। জেলার উন্নয়নের জন্য সরকারের তরফে যেমন বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই রয়ে গিয়েছে কিছু খামতিও, অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
ঝাড়গ্রামের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তিই হল চাষাবাদ ও ব্যবসা। আর ব্যবসার মধ্যে একটি বড় অংশ হল কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প। যার অন্যতম শালপাতার থালা (Sal Patar Thala) তৈরির কাজ। জেলার একটি বিরাট অংশের মানুষের রুজি রোজগার জড়িয়ে এই কাজের সঙ্গে। তাদেরই একজন পরিমল পাত্র। বিনপুর বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা পরিমলবাবু পারিবারিকভাবেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আর শুধু পরিবারিকভাবেই নয়, তাঁর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকের রোজগার। পরিমলবাবু জানাচ্ছেন, এক জায়গা থেকে পাতা কেনা হয়, তারপর সেই পাতা সেলাই করানো হয় ও সবশেষে শালপাতার থালা তৈরি হয়। আর এই সমস্ত কাজটাই হয় হাজার পিসের চুক্তিতে। অর্থাৎ পাতা কেনা থেকে থালা বানানো পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই থাকে হাজার পিসের চুক্তি।
ব্যবসা এখন কেমন চলছে? জবাবে পরিমল পাত্র জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসা, তাই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা আসেনি। এমনকি সরকারের 'কর্মসাথী' প্রকল্প অনুসারে ঋণের আবেদন করেও তা পাননি বলে জানাচ্ছেন পরিমল পাত্র। তিনি বলেন, ঋণ পেলে ব্যবসা বাড়বে, আরও কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এদিকে দেখতে দেখতে চলে এসেছে ভোটও। প্রথম দফাতেই ভোটগ্রহণ ঝাড়গ্রামে। নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হবে তার কাছে কী চাইবেন? পরিমলবাবুর উত্তর, সরকার যদি ঋণ বা ওই ধরনের কোনও আর্থিক সহযোগিতা করে তাহলে সুবিধা হয়। কারণ ব্যবসা বাড়লে শুধু তাঁর নয় উপকার হবে আরও অনেকেরই।