Advertisement

West Bengal Election 2021: আব্বাসকে নিশানা শমীকের! 'মানুষকে সচেতন করব'

সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, "ভাগিদারী ও অংশিদারীর কথা বলে আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui) যে রণহুঙ্কার দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করছি।" একইসঙ্গে বাম (Left Front) ও কংগ্রেসের (Congress) সমালোচনা করে এই বিজেপি নেতা  বলেন," আমাদের রাজনীতি বিভাজনের নয় সমন্বয়ের। আমাদের রাজনীতি ভোট কেন্দ্রীক রাজনীতি নয়।"

শমীক ভট্টাচার্য
শ্যাম সুন্দর ঘোষ / প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 01 Mar 2021,
  • अपडेटेड 6:26 PM IST
  • "পশ্চিমবঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে"
  • "আমাদের রাজনীতি বিভাজনের নয়, সমন্বয়ের"
  • মন্তব্য বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের

"পশ্চিমবঙ্গে বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে", বাম কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর ব্রিগেড সমাবেশে আব্বাস সিদ্দিকীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বললেন বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, "ভাগিদারী ও অংশিদারীর কথা বলে আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui) যে রণহুঙ্কার দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করছি।" একইসঙ্গে বাম (Left Front) ও কংগ্রেসের (Congress) সমালোচনা করে এই বিজেপি নেতা  বলেন," আমাদের রাজনীতি বিভাজনের নয় সমন্বয়ের। আমাদের রাজনীতি ভোট কেন্দ্রীক রাজনীতি নয়।" 

সূত্রের খবর আসন বণ্টন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসে সঙ্গে সহমতে পৌঁছতে পারেনি আইএসএফ। আর ব্রিগডের সমাবেশে সেই দ্বন্দ্বের ছবিই প্রকাশ্যে চলে আসে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রবিবার ব্রিগেডে সভা চলাকালিন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী মঞ্চে পৌঁছতেই তাঁর সমর্থকেরা উৎসাহে চিৎকার শুরু করেন। সেই সময় সভামঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। চিৎকারে বক্তব্য থামাতে হয় তাঁকে। বিরক্ত হয়ে নিজের ভাষণ প্রায় বন্ধই করতে চলেছিলেন অধীর। যদিও যথাসময়ে পরিস্থিতি সামাল দেন বিমান বসু। পরে বক্তব্য রাখার সময়েও আক্রমণাত্বক ছিলেন আব্বাস। তিনি বলেন, "বামেরা আমাদের দাবি অনুযায়ী আসন ছেড়েছে। তাই যেখানেই বামেরা প্রার্থী দেবে সেখানেই রক্ত দিয়ে জেতাব।" এরপরেই নাম না করে কংগ্রেসকে আব্বাসের বার্তা,  "ভাগিদারী করতে এসেছি তোষণ করতে নয়।" 

আব্বাসের এহেন মন্তব্য প্রথম দিনেই জোট তথা সংযুক্ত মোর্চার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় রাজনৈতি বিশেষজ্ঞদের মনে। পাশাপাশি আব্বাসের বক্তব্য এবং বাম ও কংগ্রেসের মনোভাবের সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূল ও বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "ভাইজানের ঔদ্ধত্য ও এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করব।" পাশাপাশি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, "বিজেপি এবং কংগ্রেস আর জাতপাত মুক্ত দলের তালিকায় রইল না। বিজেপি নতুন দুজন বন্ধু পেল।" এখন দেখার সত্যিই কতদূর যায় সংযুক্ত মোর্চা।

Advertisement

 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement