Advertisement

West Bengal Election 2021 : শ্য়ামলীর সাহস আর জনসংযোগ তপ্ত নানুরে ভরসা দিচ্ছে CPIM-কে

রাজনৈতিক সংঘর্ষ বা জমির আন্দোলন নানুরে অশান্তি সম্পূর্ন থামেনি। সেই নানুরে ফের বিধায়ক হতে চেয়ে মনোনয়নপত্র দিলেন শ্যামলী প্রধান। সিপিআইএম-এ যুক্ত হন ছাত্র রাজনীতির হাত ধরে।

নানুরে প্রচারে শ্যামলী প্রধান। ছবি: জয়দীপ সরকার
জয়দীপ সরকার
  • নানুর,
  • 04 Apr 2021,
  • अपडेटेड 12:40 PM IST
  • বীরভূমের নানুর মানেই গোলমাল
  • সেখানে খুন, জখম, বোমাবাজি, বাড়িতে আগুন, লুটপাট, হিংসা লেগেই রয়েছে
  • নানুরে এমন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী প্রায় নেই যাঁদের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা কম

বীরভূমের নানুর মানেই গোলমাল! সেখানে খুন, জখম, বোমাবাজি, বাড়িতে আগুন, লুটপাট, হিংসা লেগেই রয়েছে। নানুরে এমন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী প্রায় নেই যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা নেই বা সংখ্যা কম।

রাজনৈতিক সংঘর্ষ বা জমির আন্দোলন নানুরে অশান্তি সম্পূর্ন থামেনি। সেই নানুরে ফের বিধায়ক হতে চেয়ে মনোনয়নপত্র দিলেন শ্যামলী প্রধান। সিপিআইএম-এ যুক্ত হন ছাত্র রাজনীতির হাত ধরে।

পরে কৃষক আন্দোলনে যুক্ত হন। এরপর পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে পঞ্চায়েতে সমিতির, সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য। এরপর ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়া শ্যামলী প্রধান তারকা প্রার্থী নন। বাম প্রার্থীদের যেভাবে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়।

নেই কোনও সাজসজ্জা। সাদামাটা শাড়ি পরা শ্যামলীকে দেখে নানুরের মানুষ বলেন সাহস আছে মেয়েটার। দিনরাত কয়েকজন সঙ্গীসাথী, আবার কখনও একাই সাইকেল নিয়ে ঘুরে চলছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম। যেখানে সন্ত্রাস নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।

শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর প্রথা মাফিক এক সরকারী নিরাপত্তা রক্ষী পেয়েছেন। তাই নিয়েই বিপাকে শ্যামলী। কী করব এসব পুলিস নিরাপত্তা নিয়ে? প্রশ্ন তাঁর।

তিনি বলেন, আমাদের এসব দরকার নেই , মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করছি মানুষই আমাদের বাঁচাবে। আৎ কী বলছে নানুর?  অকুতোভয় মেয়েটির সাহস গল্প হয়ে উঠছে নানুরের সন্ত্রস্ত ভূমিতে। শ্যামলী প্রায় তিন দশক রাজনীতি করছেন। তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে  সূচপুর গনহত্যার মামলায় ৪২ জন সংশোধনাগারে গিয়েছেন। সেখানেই মারা গিয়েছেন ৬ জন। ১৯ জন সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন। আরও অনেকে এখনও সংশোধনাগারে।

তাঁদের মুক্ত করার জন্য দলের থেকে চেষ্টা চালাচ্ছেন শ্যামলী। তবে শ্যামলীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা-মোকদ্দমা কিছুই নেই। আন্দোলনের সামনে থাকলেও তাঁকে কোনও ভাবে অভিযুক্ত বলে মনে করে না প্রতিপক্ষ।

Advertisement

যদিও তৃনমূলের নানুরের নেতারা বলেন, তিনি তেমন সক্রিয় নন, কোনও কাজ করেন না, তাই কেস হয় না ওর নামে।

নানুরের মতো এসলাকায় ভোটে লড়ছেন। প্রাণের ভয় নেই? শ্যামলী বলেন, দলের কাজ হিসেবে ভোটে প্রার্থী হয়েছি। আমাদের নানুরের পরিচয় মানেই বোমাবাজি, খুন, সন্ত্রাস এটা ঠিক নয়। যাঁরা এসব কাজ করেন, সবাইকে রুটিরুজির আন্দোলনে যুক্ত করছি। আমার মনে হয় এতে আমাকে কেউ খুন করবেন না। ভোটের কঠিন লড়াইয়ে শ্যামলীর বড় হাতিয়ার পরিযায়ী শ্রমিকরা।

উত্তারখন্ড থেকে কেরলায় কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, লকডাউনে বাড়ি ফিরতে না পেরে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম। কোনও মতে শ্যামলীদির সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওঁর উদ্যোগে সেদিন থেকে সরকার খাওয়ার চিকিৎসা থাকার জায়গা থেকে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা হয়ে যায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এই প্রার্থীর সাহস আর জনসংযোগ মিইয়ে পড়া বামেদের ঘুম থেকে তুলছে। এমনই কথা ভাসছে নানুরের বাতাসে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement