Advertisement

অধিকারী পরিবারে 'পদ্ম ফুটছে'! বছরের প্রথম দিনেই BJP-তে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু

গত মঙ্গলবার খড়দার জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘরে তখনই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তবে সেই কথা হয়ত খুব শীঘ্রই রাখতে চলেছেন শুভন্দু। জানা যাচ্ছে অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জের এক সদস্য খুব শীঘ্রই যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই দলবদল ঘটতে চলেছে সৌমেন্দু অধিকারীর। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে এখনও কিছু জানান হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে কান পাতলেই এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছে।

Soumendu Adhikari
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 31 Dec 2020,
  • अपडेटेड 7:53 PM IST
  • পয়লা জানুয়ারি কাঁথিতে জনসভা রয়েছে শুভেন্দু
  • শোনা যাচ্ছে এই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দেবেন সৌমেন্দু
  • পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে কান পাতলেই এখন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে

গত মঙ্গলবার খড়দার জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তৃণমূল ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘরে তখনই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তবে সেই কথা হয়ত খুব শীঘ্রই রাখতে চলেছেন শুভন্দু। জানা যাচ্ছে অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জের এক সদস্য খুব শীঘ্রই যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই দলবদল ঘটতে চলেছে সৌমেন্দু অধিকারীর। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে এখনও কিছু জানান হয়নি। তবে  বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে কান পাতলেই এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী

মঙ্গলবার খড়দার সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, 'সবে তো পদ্মের কুঁড়িটা ফুটেছে। রামনবমী আসুক আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে।' আর সেদিনই কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু সেখানকার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ছিলেন। পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে প্রশাসক করেই চলছিল পুরসভা। কিন্তু সৌমেন্দুকে সরিয়ে আচনকাই  সিদ্ধার্থ মাইতিকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন সৌমেন্দু অধিকারী৷ আর এই ঘটনাক্রমের সঙ্গেই সৌমেন্দুর বিজেপিতে যোগদান প্রায় পাকা হয়ে উঠেছে। 

বাঁকুড়ায় CPIM-এর মিছিলে বোমাবাজি, আহত ১৮ কর্মী, অভিযোগের তির TMC-র দিকে

জানা গিয়েছে ১ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর একটি জনসভা রয়েছে  তাঁর গড় কাঁথিতে। সেই জনসভায় দাদা শুভেন্দুর হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দেবেন সৌমেন্দু। সৌমেন্দুর অপসারণের খবর জানতেই তিনি আর পুরভবনে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভার শীর্ষপদে ছিলেন অধিকারী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য। কিন্তু সৌমেন্দুকে পুর প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণের পর সেই ধারায় ছেদ পড়ে গেল। 

Advertisement

৯ জানুয়ারি দু'দিনের রাজ্য সফরে জেপি নাড্ডা, বলছে বিজেপি সূত্র

শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে গোটা অধিকারী পরিবারের। গত ৭ ডিসেম্বর শুভেন্দু তখন মন্ত্রীত্ব ছাড়লেও দল ছাড়েননি সেই সময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে জনসভা করতে এসেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। দলের নির্দেশ ছিল দুই মেদিনীপুরের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদের উপস্থিত থাকার। কিন্তু সবাইকে অবাক করেই সেদিন সভামঞ্চে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যকে। শারীরিক অসুসস্থতার কারণে তিনি সভায় হাজির থাকতে পারবেন না জানিয়েছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। অন্যদিকে শুভেন্দুর ভাই তথা তৃণমূলের আরেক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকেও দেখা যায়নি তৃণমূলনেত্রীর জনসভায়। জানা গিয়েছিল সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন তিনি। অধিকারী পরিবার কোন পথে হাঁটবে তা নিয়ে তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়। এরপর শুভেন্দু তৃণমূলে যোগ দিতেই গত সপ্তাহে কাঁথিতে জনসভা করে তৃণমূল। অধিকারী পরিবারের মন বুঝতেই নাকি সেদিন ঘাসফুল শিবির এই জনসভার আয়োজন করেছিল বলে খবর। কিন্তু সেবারও তৃণমূলের মঞ্চে দেখা যায়নি অধিকারী পরিবারের কাউকে। শিশিরবাবু জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ। আর শুভেন্দুর দুই ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ও সৌম্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন তারা নাকি আমন্ত্রণ পাননি। সেদিন সভামঞ্চ থেকেই সৌগত রায় বলেছিলেন, 'আজকের মিছিল থেকেই প্রমাণ হয়ে গেল কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়।' 

শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীও দলবদল করবেন কিনা তা নিয়ে এখন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে। এর মাঝেই  বুধবার সকালে কাঁথিতে অধিকারীদের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ তথা কাঁথি জোনের পর্যবেক্ষক। যা অধিকারী পরিবারের রংবদল নিয়ে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement