হালিশহরের বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল খুনের মামলায় সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায়, সুদীপ্ত ঘোষ ও সুমন সাহা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বীজপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাতে হালিশহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন খুনের ঘটনায় বীজপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করে বিজেপি। সেই বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ
কীভাবে খুন
গতকাল শনিবার হালিশসহর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বারেন্দ্র গলি এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল। এর পর কল্যাণী যে এন এম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই মৃত্যুর পর রবিবার সকালে থমথমে গোটা এলাকা। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির
সেই ঘটনার প্রতিবাদে বীজপুর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি কর্মীরা। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমা শংকর সিং প্রমুখ। একসময় বিজেপি কর্মীদের হাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের দাবি দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। এবিষয়ে শুভ্রাংশু রায় জানান, "তৃণমূল বুঝে গেছে তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। তারা জানে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।" সেইসঙ্গে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এটাই আমাদের শেষ রক্ত। আমরা কিন্তু আর সহ্য করব না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে আন্দোলন করা উচিত, গোটা বাংলায় তাই করা হবে। যেভাবে একটা মায়ের কোল খালি হয়েছে, ওই পরিবার যা চায় তাই হবে"। বিজেপি কর্মীর মৃত্যু কে পরিকল্পিত হামলা বলেও মন্তব্য করেন শুভ্রাংশু।
কী দাবি মৃতের পরিবারের
মৃত বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের ভাই শ্যামলের দাবি, "আমার দাদা হালিশহর পৌরসভার কাজ করে। কিন্তু বিজেপি করে বলে তাকে ওই পোস্ট থেকে নিম্ন পদে স্থানান্তরিত করা হয়। আমরা চাই ওদের ফাঁসি হোক। কিন্তু ফাঁসি কি হবে? আমার তো মনে হয় কোন বিচারই হবে না। দু-তিনদিন এলাকা গরম থাকবে, এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।"
ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ ,৩০৭, ১২০ বি, ৩২৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হচ্ছে। অভিযুক্তদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হবে বলে খবর।