ঘাসফুল ঝড়ে কার্যত কেঁপে গেল অর্জুন-গড়! ব্যারাকপুর লোকসভা এলাকার মধ্যে থাকা সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে বিজেপি। তৃণমূলের প্রার্থীরা ব্যারাকপুর লোকসভার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র বা ব্য়ারাকপুর শিল্পাঞ্চল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের খাসতালুক বলে পরিচিত। তিনি আগে ছিলেন তৃণমূলে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে যোগ দেন বিজেপিতে।
এবং লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে লড়ন তিনি। তৎকালীন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনা হল পরে দীনেশও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
অর্জুনের দলত্যাগ এবং বিজেপিতে যোগের ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে অভাবনীয়। তার আগে বেশ কিছুদিন তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলেই তিনি দল ছাড়েন।
তবে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য করার। তিনি সে প্রস্তাবে রাজি হননি। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এবং জয়ী হয়েছিলেন। তবে এবার বিধানসভা ভোটে তাঁর গড় ব্যারাকপুরে পদ্মকে সরিয়ে ফুটেছে ঘাসফুল।
বীজপুরের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়। সেখানে হেরে গিয়েছেন তিনি। জিতেছেন তৃণমূলের সুবোধ অধিকারী।
ব্যারাকপুর লোকসভার মধ্যে পড়ে আমডাঙা। এবার সেখানে জিতেছেন তৃণমূলের রফিুকুর রহমান। তিনি হারিয়েছেন বিজেপির জয়দেব মান্নাকে।
নৈহাটির বিজেপি প্রার্থী ফাল্গুনী পাত্রকে হারিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক। জগদ্দল কেন্দ্রেও হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সেখানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের সোমনাথ শ্যাম। ওই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।
নোয়াপাড়ায় জিতেছেন তৃণমূলের মঞ্জু বসু। তিনি হারিয়েছেন বিজেপির সুনীল সিংকে।ব্যারাকপুরে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী জিতেছেন। ভাটপাড়া কেন্দ্র ধরে রাখতে পেরেছেন অর্জুন সিং পবন সিং।
একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সংখ্যার দিক থেকে দেখতে গেলে বিজেপির ফল ভাল হয়েছে। ২০১৬ সালে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ছিল তিন।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর হিসেব অনুযায়ী তাদের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭-এ। সংখ্যার দিক থেকে দেখতে গেলে বেশ কয়েক গুণ।