Advertisement

গদ্দার তকমা, পদ থেকে ইস্তফা দিতেই প্রবীর ঘোষালকে শোকজ তৃণমূলের

দলের দুই পদ থেকে পদত্যাগ করতেই উত্তরপাড়ার বিধাায়ক প্রবীর ঘোষালকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁর অফিসের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকল তৃণমূলের কর্মীরা। দলের গদ্দারদের অবিলম্বে বের করে দেওয়া হোক বলে স্লোগান তুলল বিক্ষোভকারীরা।

প্রবীর ঘোষাল
Aajtak Bangla
  • উত্তরপাড়া,
  • 26 Jan 2021,
  • अपडेटेड 2:39 PM IST
  • দলের দুই পদ থেকে পদত্যাগ করতেই উত্তরপাড়ার বিধাায়ক প্রবীর ঘোষালকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
  • তাঁর অফিসের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকল তৃণমূলের কর্মীরা।
  • দলের গদ্দারদের অবিলম্বে বের করে দেওয়া হোক বলে স্লোগান তুলল বিক্ষোভকারীরা।

দলের দুই পদ থেকে পদত্যাগ করতেই উত্তরপাড়ার বিধাায়ক প্রবীর ঘোষালকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী তাঁর অফিসের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকল তৃণমূলের কর্মীরা। দলের গদ্দারদের অবিলম্বে বের করে দেওয়া হোক বলে স্লোগান তুলল বিক্ষোভকারীরা।

এদিন সকালেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। তিনি বলেন, ''দলে ভালো লোকেদের কোণঠাসা করার একটা চক্রান্ত হচ্ছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের তিনি কাজ করেননি এরকম একটা ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিতে পারতাম। কিন্তু তাতে স্থানীয় মানুষের সমস্যার মুখ পড়তে হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই বিধায়কের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।''

মঙ্গলবার সকালেই দলের বিরুদ্ধে তার যে অভিমান রয়েছে, তা প্রকাশ্য়ে আনেন প্রবীরবাবু। তিনি জানান, কিছুক্ষণের মধ্য়েই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি। সেইমতো বেলা বাড়তেই সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের বিধায়ক জানান, দলের একাংশই তাঁকে ভোটে হারাতে চেষ্টা করছিল। তাই হুগলির পুরশুড়ায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সভায় যাননি তিনি। তবে মুখ্য়মন্ত্রীর সভার আয়োজনে সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

প্রবীরবাবুর অভিযোগ, বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও স্থানীয় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনে তাঁকে ডাকা হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছেন, তাঁর নাম কার্ডে বাদ দিতে বলা হয়েছে। যেখানে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতিকরণের এই সরকার বিরোধী। যদিও এখানে কলেজের কমিটি গঠন হয়ে গেলেও তাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কাজ বন্ধকরে রাখতে বলা হয়েছিল। এমনকী মুখ্য়মন্ত্রী বলা সত্ত্বেও সেই কাজ এগোয়নি।

কদিন ধরেই স্থানীয় একটি রাস্তা সারাইয়ের বিষয়ে সরব হয়েছিলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। এদিনও সেই কথা শোনা যায় প্রবীরবাবুর মুখে। তিনি বলেন, একটা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মেরামতির বিষয়ে বার বার আমি বলেছি। আমাকে বলা হয়েছে, মাটির তলা দিয়ে জল প্রকল্পের লাইন গেছে তাই রাস্তার ঠিক করা যাচ্ছ না। কোননগরেরও তো একই বিষয় রয়েছে। ওখানে কাজ হওয়ার পরই এক সপ্তাহের মধ্য়ে রাস্তা মেরামতি হয়ে যাচ্ছে। এখানে ইচ্ছে করে একটা চক্র আমাকে নির্বাচনে যাতে হারাতে পারে , সেই কাজ করছে। শুধু এখানে নয়, দলে ভালো লোকরা যাতে না থাকতে পারে তাই এই ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

Advertisement


Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement