একুশের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী অবস্থা এবং পায়ে প্লাস্টার রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ছবি পোস্ট ঘিরে নানা মন্তব্যও করেছে বিরোধী দলের সকলে।
রাজনৈতিক মহলের মত তৃণমূল নেত্রীর এই ছবি শাসক ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে আরও সংঘাত আবহ বৃদ্ধি করল নির্বাচনী বাংলায়। মমতার কেন্দ্র নন্দীগ্রামে সভার পর 'আক্রান্ত' মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক আঘাতের চিহ্ন সামনে আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে ঘটনাটি একটি "ষড়যন্ত্র" ছিল। তৃণমূলের তরফে অন্যান্য নেতারা এর নেপথ্যে দোষ দিয়েছেন বিজেপির। পদ্ম শিবির আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে বর্তমানে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান অবাক করা। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল। ৪২ আসনের লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছে ১৮টি আসন। তাই সেই 'গরিষ্ঠ' জায়গা থেকেই এবার মমতার প্রতি আক্রমণ শানাচ্ছে বিজেপি।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এমনকী নির্বাচনী বাংলায় মডেল আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে এই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের তরফে। বিজেপির তরফে আবার তৃণমূলকে দুষেছে। তাদের মতে নির্বাচন কমিশন সাধারণ প্রশাসনের দায়িত্বে রয়েছেন। বরং রাজ্য প্রশাসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়ার ঘটনায় ডিজিপি এবং এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) সহ শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি করেছে। অভিযোগ করা হয়েছিল যে নন্দীগ্রাম ঘটনাটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “প্রাণ নেওয়ার গভীর মূল ষড়যন্ত্র”।যদিও বাংলা থেকে ডিজিপি বদলের সঙ্গে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ খারিজ করে দিল কমিশন।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার পর শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এদিকে, সব ঠিক থাকলে পরপর ৫ দিনে ১২টি সভা করবেন তিনি। শনিবার পুরুলিয়ায় দুটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি বলরামপুরে এবং আরেকটি বাঘমুণ্ডিতে। এরপর পরের দিন ১৪ মার্চ বাঁকুড়ায় পরপর তিনটি জনসভা করবেন মমতা। এর পর ১৫ মার্চ ঝাড়গ্রামে সভা করবেন তিনি।