Advertisement

West Bengal Election 2021 : লোকসভায় পিছিয়ে! বাঘমুন্ডির অঙ্ক কি মেলাতে পারবেন কংগ্রেসের প্রধান শিক্ষক নেপাল?

কিন্তু তারপরও কেন ভাল ফলের আশা দেখছে কংগ্রেস? যেখানে ওই জেলারই কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্য়ায় শিবির বদল করেছেন। এর কারণ খুঁজতে হলে মাস্টারমশাইয়ের কাছে যেতে হবে।

পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী নেপাল মাহাতো
অভিজিৎ বসাক
  • বাঘমুন্ডি,
  • 23 Mar 2021,
  • अपडेटेड 3:12 PM IST
  • পুরুলিয়ার এই আসনটি নিয়ে কংগ্রেস বেশ আত্মবিশ্বাসী, আশাবাদী
  • ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি এখানে এগিয়ে ছিল
  • কিন্তু তারপরও কেন ভাল ফলের আশা দেখছে কংগ্রেস

পুরুলিয়ার এই আসনটি নিয়ে কংগ্রেস বেশ আত্মবিশ্বাসী, আশাবাদী। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি এখানে এগিয়ে ছিল। এমনকী এই জেলার একটি বাদে সব আসনেই বিজেপি এগিয়ে ছিল।

কিন্তু তারপরও কেন ভাল ফলের আশা দেখছে কংগ্রেস? যেখানে ওই জেলারই কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্য়ায় শিবির বদল করেছেন। এর কারণ খুঁজতে হলে মাস্টারমশাইয়ের কাছে যেতে হবে।

তাঁর বাবা দেবেন মাহাতো ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। ছেলেও বাবার পথেই হেঁটেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি বেছে নিয়েছেন রাজনীতিকে। আর বাঘমুণ্ডিতে তাঁর ওপর ভরসা করেছে কংগ্রেস। প্রার্থী ঘোষণার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে  গিয়ে হইহই কাণ্ড পাকিয়ে দিয়েছিলেন।

লোকসভায় তো পিছিয়ে ছিলেন। এবার কী হবে? মঙ্গলবার সকালে ভাবলেশহীন ভাবেই জবাব দিলেন। কোন অঙ্কে গড় অক্ষত থাকবে, তা জানালেন। তখন তিনি তোড়াং গ্রামে প্রচারে যাচ্ছিলেন।

তারই ফাঁকে জানালেন, এবার বিধানসভায় এগোব। জয় সুনিশ্চিত। এবং ভাঙলেন কেন তিনি এ কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, লোকসভা ভোটের পর খোঁজ নিতে শুরু করি কেন এমন ফল। দেখা যায়, বুথে বুথে কংগ্রেসের বহু ভোট বিজেপিতে গিয়েছিল।

কেন গিয়েছিল, তা-ও ব্য়াখ্যা করলেন ফলিত গণিতে স্নাতকোত্তর নেপাল মাহাতো। বললেন, মানুষের মনে হয়েছিল কংগ্রেস তৃণমূল হারাতে পারবে না। বিজেপি পারে তৃণমূলকে হারাতে। তৃণমূলকে হারাতে হবে, তাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলে। এখন তাঁরা ফিরে এসেছেন।

তাঁর দাবি, সেখানে তো বিজেপির ঝান্ডা ধরার লোক ছিল না। ধর্মীয় সুড়সুড়ির জন্য অনেক ভোট চলে গিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। সেইসঙ্গে জানান, সেখান কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি বরাবরই ভাল। এবার বিজেপি ওই কেন্দ্র প্রার্থী দেয়নি। আজসু প্রার্থী দিয়েছে।

Advertisement

নেপাল মাহাতো জানান, লোকসভা ভোটের পরই নেমে পড়েছিলেন মানুষের আস্থা ফেরানোর কাজে। তার ফল পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

দলের কোনও সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে, সরাসরি তার আপত্তি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি অন্য দলে যোগ দেওয়ার জন্য 'আমন্ত্রণ' পেয়েছেন একাধিক বার। তবে হাত ছাড়েননি।

তিনি পুরুলিয়া জেলা সভাপতি। স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, হাতের তালুর মতে চেনেন এলাকা। সারা বছর পড়ে থাকেন। ফলে লোকসভার মতো ফলাফল না-ও হতে পারে এখানে। আর সেই সময় তো মোদী ঝড়ে রথী-মহারথীদের গড় উল্টে গিয়েছিল।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement