চলতি মাসের ২৬ তারিখের দুই দিনের বঙ্গ সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের একটি পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ছবিটি ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বরের। যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মাস্ক পরা অবস্থায় একটি চেয়ারে বসে, টেবিলের রাখা একটি বই বা খাতায় কিছু লিখতে দেখা যাচ্ছে।
ছবিটির সঙ্গে লেখা হয়েছে নীচে লেখা হয়েছ, "উত্তরায়ণের এই বিশেষ আসনটি একদা একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই ব্যবহার করতেন। তিনি চলে যাওয়ার পর বিগত আট দশকে আর কেউ কখনও এটিতে বসেন নি। ছবিটি গত বিশ ডিসেম্বরের, যেদিন অমিত শাহ শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। এই অশিক্ষা, ঔদ্ধত্য এবং দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য।"
কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম তদন্ত করে দেখেছে যে, ভাইরাল দাবিটি ভুয়ো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসেননি।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, অমিত শাহের ভেরিফাইড টুইটার হ্যান্ডেলে একই ছবি দেখতে পাওয়া যায়।
এরপর আরও সার্চ করলে দেখা যায় যে, ২০২১ সালে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধিরী, অমিত শাহের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন।
https://www.youtube.com/live/h3hV9kU35t0?si=BLq9bAxiGmVoAYaO
প্রত্তুত্তরে অমিত শাহ জানান যে, শান্তিনিকেতন সফরকালে তিনি কবিগুরুর চেয়ারে বসেননি। তিনি দর্শনার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখা একটি জানালায় বসেছিলেন।
https://youtu.be/2GpyolD-YDs?si=iz6hCQjnQc5XLH8j
এছাড়া আরও দেখা যায় যে, বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে তাঁর অভিযোগগুলি সত্য নয়।
এছাড়া আরও সার্চ করে দেখা গিয়েছে অমিত শাহ যে জায়গায় বসেছিলেন, সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং প্রতিভা পাটিল বসেছিলেন।
সুতরাং এখন এটা প্রমাণিত যে, অমিত শাহ যে জায়গায় বসে আছেন তা রবি ঠাকুরের চেয়ার নয় বরং জানালার পাশে বসার একটি অংশ এবং যেখানে লিখছেন তা হল শান্তিনিকেতন দর্শনার্থীদের স্বাক্ষর বই।
উত্তরায়ণের এই বিশেষ আসনটি একদা একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই ব্যবহার করতেন। তিনি চলে যাওয়ার পর বিগত আট দশকে আর কেউ কখনও এটিতে বসেননি। ছবিটি গত বিশ ডিসেম্বরের, যেদিন অমিত শাহ শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন। এই অশিক্ষা, ঔদ্ধত্য এবং দায়িত্বহীনতা ক্ষমার অযোগ্য।
অমিত শাহ যে জায়গায় বসে আছেন তা রবি ঠাকুরের চেয়ার নয় বরং জানালার পাশে বসার একটি অংশ এবং যেখানে লিখছেন তা হল শান্তিনিকেতন দর্শনার্থীদের স্বাক্ষর বই।