হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হতেই সমস্ত রিজার্ভিস্টদের দেশে ফেরার ডাক দিয়েছে ইজরায়েল সরকার। সেই মতো ইজরায়েলে ফিরতে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ইজরায়েলের রিজার্ভিস্টরা।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে ইজরায়েলি সেনার একজন মহিলা অফিসারকে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োটি পোস্ট করে অনেকেই দাবি করেছেন যে, হামাসের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে যেতে ভয় পাচ্ছেন ওই মহিলা। সেজন্য ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিমের তদন্তে ধরা পড়েছে যে ভাইরাল ভিডিয়োটি সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ভিডিয়োটি ২০২২ সালের।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
তদন্তের শুরুতে ভাইরাল ভিডিয়োটির একটি কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, ইরানের সংবাদমাধ্যম ‘Press TV’ এর এক্স হ্যান্ডেলে সেটা আমরা দেখতে পাই। ২০২২ সালের ৩ জুন ভিডিয়োটি সেখানে পোস্ট করা হয়েছিল। ওই পোস্ট থেকে জানা যায় যে, গাজায় যুদ্ধে যাওয়ার নির্দেশ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই ইজরায়েলি মহিলা সেনা।
এছাড়া প্যালেস্তাইনের সংবাদসংস্থা Shehab News Agency এর এক্স হ্যাল্ডেলেও একই ভিডিয়ো ২০২২ সালের ২ জুন পোস্ট করা হয়েছিল।
ইজরায়েলি সেনার রিজার্ভিস্ট বাহিনী কী?
১৮ বছর বয়সের পর ইজরায়েলে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সামরিক শিক্ষা আবশ্যিক। সেই প্রশিক্ষণ শেষ হলে মহিলাদের ২৪ মাস এবং পুরুষদের ৩২ মাস সেনায় কাজ করতে হয়। এরপর তাঁরা ফের নিজ নিজ জীবনে ফইরে যেতে পারেন। তবে দেশের জরুরী অবস্থায় ফের তাঁদের সেনার কাজে ফিরে আসতে হতে পারে। এদেরই রিজার্ভিস্ট বাহিনী বলা হয়।
সুতরাং এখন এটা স্পষ্ট যে, ভাইরাল ভিডিয়োটি সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ভিডিয়োটি ২০২২ সালের।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হামাসের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধে যেতে ভয় পাচ্ছেন ইজরায়েলের এক মহিলা সেনাকর্মী। ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।
ভাইরাল ভিডিয়োটি সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। ভিডিয়োটি ২০২২ সালের।