আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। ২২ নভেম্বরের অপেক্ষায় রয়েছেন আর্জেন্টিনার ভক্তরা। কারণ ওইদিনই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন মেসিরা। চোট সারিয়ে আর্জেন্টিনার দলে যোগ দিয়েছেন তরুণ তুর্কী পাওলো দিবালা।
ইতিমধ্যে তাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে এক নতুন গুঞ্জন। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, খ্রিস্টান হয়েও প্যালেস্টাইনে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদ করেছেন দিবালা। সেজন্য নিজের বাঁদিকের পাঁজরে আরবি ভাষায় ট্যাটু করেছেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। ছবিটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ঘুরছে। শেয়ার করে একজন লিখেছেন, "দিবালা খ্রিস্টান, কিন্তু আরবি ট্যাটু তার শরীরে কেন এই প্রশ্ন তাইতো??? উত্তর,,,, সে আরবি ট্যাটু তার শরীরে দিয়ে ফিলিস্তিনের মুসলিম হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিলো,,," (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)
যদিও ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা দাবিটি সত্যি নয়। পাওলো দিবালার বাঁদিকের পাঁজরে করা ট্যাটুটির সঙ্গে প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং আরবি ভাষায় নিজের মা, অ্যালিসের নাম লিখেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারটি।
আফয়া অনুসন্ধান
তদন্তের শুরুতে কিওয়ার্ডের সার্চের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করি দিবালার শরীরে থাকা ট্যাটুগুলোর অর্থ কী?
bodyartguru.com -এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন AFWA-র নজরে পড়ে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দিবালার বাঁদিকের পাঁজরের আরবি ভাষায় তাঁর মায়ের নাম লেখা রয়েছে। আর্জেন্টিনার একটি ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নাকি এটা দিবালা নিজেই জানিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর, ট্যাটুটা করান দিবালা। সেটাকে মনের সবচেয়ে কাছের ট্যাটু বলেও অভিহিত করেছিলেন এই আর্জেন্টিনিয়ো ফুটবলার।
Tattooino নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে 'Paulo Dybala's Tattoos with Schal V' নামের শিরোনামে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়োও দেখতে পাওয়া যায়।
একই দাবি করা হয়েছে abtc.ng নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও।
সুতরাং বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ বিচার করে এটা স্পষ্ট যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা দাবিটি সত্যি নয়। পাওলো দিবালার বাঁদিকের পাঁজরে করা ট্যাটুটির সঙ্গে প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং আরবি ভাষায় নিজের মা, অ্যালিসের নাম লিখেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারটি।
খ্রিস্টান হয়েও প্যালেস্টাইনে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদ করেছেন দিবালা। সেজন্য নিজের বাঁদিকের পাঁজরে আরবি ভাষায় ট্যাটু করেছেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় করা দাবিটি সত্যি নয়। পাওলো দিবালার বাঁদিকের পাঁজরে করা ট্যাটুটির সঙ্গে প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল যুদ্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং আরবি ভাষায় নিজের মা, অ্যালিসের নাম লিখেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারটি।