প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের ভূমিকায় রয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ। নতুন দায়িত্বে তিনি শপথ নেওয়ার কদিন পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম যমুনা টিভির লোগো সংকলিত একটি গ্রাফিক কার্ড ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
এই গ্রাফিক কার্ডে দাবি করা হয়েছে যে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে নাকি বাংলাদেশের সমস্ত মাদ্রাসা ও মসজিদে বিদ্যুৎ ফ্রি-তে অর্থাৎ বিনামূল্য দেওয়া হবে। যার অর্থ হল, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হোক না কেন তার বদলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলিকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না।
এখানে ড. ইউনূসকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, "১ সেপ্টেম্বর থেকে সকল মসজিদ এবং মাদ্রাসার কারেন্ট বিল ফ্রি: ড. ইউনূস।"
ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল পোস্টের দাবি সঠিক নয়। ড. ইউনূস এমন কোনও মন্তব্য করেননি। এই গ্রাফিক কার্ডও ভুয়ো।
কীভাবে জানা গেল সত্যি
যদি বাংলাদেশের নতুন সরকার প্রধান সত্যিই এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতেন, তবে সেই খবর বাংলাদেশের মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমে অবশ্যই প্রকাশ পেত। কিন্তু কিওয়ার্ড সার্চ করে আমরা তেমন কোনও খবর খুঁজে পাইনি যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ড. ইউনূস এহেন কোনও ঘোষণা করেছেন বা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ওই ভাইরাল গ্রাফিক কার্ডে যেহেতু ১৭ অগস্টের তারিখ দেওয়া ছিল, তাই আমরা যমুনা টিভির ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। তবে খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, যমুনা টিভি ১৮ অগস্ট ওই ভাইরাল গ্রাফিক কার্ডের স্ক্রিনশট নিয়ে আরেকটি পোস্ট করে জানিয়েছে যে তারা এমন কোনও পোস্ট করেনি বা এমন কোনও খবর প্রকাশিত হয়নি।
যমুনা টিভির ফেসবুক পেজে ১৭ অগস্ট ড. ইউনূসকে নিয়ে অবশ্য একটি পোস্ট করা হয়েছিল। যেখানে লেখা হয়, ভারতীয় সাংবাদিকদের ঢাকায় গিয়ে রিপোর্টিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইফনূস।
এই পোস্টে স্পষ্টই লক্ষ্য করা যাবে যে ভাইরাল পোস্টের ফন্ট এবং যমুনা টিভির নিজস্ব ফন্টের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে।
অর্থাৎ বুঝতে বাকি থাকে না যে, ভাইরাল পোস্টটি আদতে মনগড়া এবং বাস্তব নয়। মিথ্যে প্রচার করতে এই পোস্ট ছড়ানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী প্রধান ড. মহম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিদ্যুতের কোনও বিল দিতে হবে না।
পোস্টকার্ডটি পুরোপুরি ভুয়ো। এই ধরনের কোনও মন্তব্য ড. মহম্মদ ইউনূস করেননি।