Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: চট্টগ্রাম ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে চায় দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি ত্রিপুরার, বাংলাদেশের নয়

আজ তক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে দাবিটি অসত্য। ভিডিওটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের নয় বরং ভারতের। সেই সঙ্গে ভিডিওটি এক বছরেরও বেশি আগেকার।

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 04 Oct 2025,
  • अपडेटेड 6:33 PM IST

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার খাগড়াছড়ি অঞ্চলে সম্প্রতি কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাবলি নিয়ে বাংলাদেশের তরফ থেকে ভারতের দিকে আঙুল তোলা হয় এবং পাল্টা ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে যে চট্টগ্রামের স্থানীয়রা ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে চাওয়ার দাবি জানাচ্ছে।

ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ড. মহম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে এখান থেকে আমরা আওয়াজ তুলছি যে যতক্ষণ অবধি পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অন্তর্ভুক্ত না হয় ততক্ষণ অবধি সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চল থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।”

এই ক্লিপটি এমন কিছু ক্যাপশন-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে বোঝাতে চাওয়া হচ্ছে যে এই ঘটনাটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এবং সেখানে স্থানীয়রা ভারতের সঙ্গে জুড়তে চেয়ে এই আন্দোলন করছে।

আরও পড়ুন

আজ তক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে দাবিটি অসত্য। ভিডিওটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের নয় বরং ভারতের। সেই সঙ্গে ভিডিওটি এক বছরেরও বেশি আগেকার।

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তা রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে খোঁজা হলে এই একই ভিডিও পাওয়া যায় ভয়েস অফ সিএইচটি নামের একটি ফেসবুক পেজে। ভিডিওটি এই পেজে পোস্ট করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ, এর সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কোনও সম্পর্ক থাকা সম্ভব নয়।

এই ভিডিও-র ক্যাপশনে লেখা হয়, “পার্বত্য চট্রগ্রামকে ভারতের সাথে অন্তরভুক্ত করার দাবি এবং পাহাড়ে চারটি দল ঐক্য না হলে ত্রিপুরাবাসিরা সহয়তা দিবেনা বলে সমাবেশ থেকে হুশিয়ারি। ভিডিও #দিলীপ কুমার, পেচারতল।”

উল্লেখ্য, পেঁচারথল হলো ত্রিপুরার একটি বিধানসভা অঞ্চল। সেই সঙ্গে ক্যাপশনে ত্রিপুরাবাসীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে ঘটনাটি ত্রিপুরার হতে পারে।

Advertisement

এ বাদে গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ওই পেজ থেকে পোস্ট করা অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায় একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অপর এক ব্যক্তি কথা বলছেন। সেই ভিডিও-র ক্যাপশনে স্পষ্টভাবেই ভিডিওটি ত্রিপুরার বলে উল্লেখ করা হয়।

তা ছাড়াও উক্ত ভিডিওতে যে ব্যানার হাতে কিছু মহিলাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, সেখানেও স্পষ্টভাবে স্থানের নাম পেঁচারথল, ত্রিপুরা বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যানারে থাকা লেখা দেখে বোঝা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিন্দু ও বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের দাবি তুলে এই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছিল।

ফলে সব মিলিয়ে বুঝতে বাকি থাকে না যে ভারতের একটি এক বছরের আগেকার ভিডিওকে বর্তমানে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এলাকার ভিডিও বলে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হচ্ছে।

 

Fact Check

Claim

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে চট্টগ্রামের মানুষ ভারতের অঙ্গরাজ্য হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

Conclusion

ভিডিওটি ত্রিপুরার পেঁচারথল এলাকার, বাংলাদেশের নয়। ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রতিবাদ প্রদর্শন করা হয়েছিল।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement