ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পণ্য বয়কটের একটি ট্রেন্ড চলছে। তেমনই একটি পোস্ট ফেসবুকে খুব ভাইরাল। যেখানে বলা হচ্ছে যে এই বয়কট ট্রেন্ডের মুখে পড়ে, নিজেদের পণ্যের লুক বা মোড়ক পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা কোকা-কোলা।
ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে কোকাকোলার প্রথাগত লাল রঙের বোতলের বদলে হলুদ রঙের বোতল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সেই ছবির সঙ্গে অনেকেই লিখেছেন, "বয়কট এমনভাবে করুন,যেন তারা নিজেদের রূপ পাল্টাতে বাধ্য হয়।" (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)
একই ধরনের পোস্ট দেখতে পাওয়া যাবে এখানেও।
কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম তদন্ত করে দেখেছে যে, ছবিটি আসলে কোকা-কোলার লেমন ফ্লেভারের জিরো সুগার কোকের বোতলের। যা বহু বছর আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সঙ্গে যার কোনও যোগাযোগ নেই।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
ফেসবুকে ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে স্টক ছবির ওয়েবসাইট alamy.com -এ একই ধরেনর একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে দেওয়া বর্ণনা থেকে জানা যায় হলুদ রঙের বোতলগুলো আসলে সুগার ফ্রি লেমন ফ্লেভার কোকা-কোলার। ওই ওয়েবসাইট থেকেই জানা যায় যে, ছবিটি ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রোমে তোলা হয়েছিল।
আরও সার্চ করলে কোকা-কোলার ওয়েবসাইটেও পণ্যটি সম্পর্কে তথ্যের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে জানা যায় যে, ২০১৭ সালে ইতালিতে সুগার ফ্রি লেমন ফ্লেভার কোকা-কোলা প্রথম বাজারে আনা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের আবহে নভেম্বর মাসেই বেশকিছু প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তুরস্কের পার্লামেন্ট। সূত্রের খবর সেই তালিকায় কোকা-কোলা ও নেসলে রয়েছে। অভিযোগ, এই কোম্পানিগুলো ইজরায়েলি সাহায্য পায়।
তবে এখন এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, বয়কট ট্রেন্ডের মুখে পড়ে নিজেদের মোড়ক পরিবর্তন করে হলুদ করেনি কোকা-কোলা। ভাইরাল ছবিটি আসলে কোকা-কোলার লেমন ফ্লেভারের জিরো সুগার কোকের বোতলের।
বয়কট ট্রেন্ডের মুখে পড়ে, নিজেদের পণ্যের লুক বা মোড়ক পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থা কোকা-কোলা।
বয়কট ট্রেন্ডের মুখে পড়ে নিজেদের মোড়ক পরিবর্তন করে হলুদ করেনি কোকা-কোলা। ভাইরাল ছবিটি আসলে কোকা-কোলার লেমন ফ্লেভারের জিরো সুগার কোকের বোতলের।