Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: ভোটে জয়ের পর হাসিনার সঙ্গে দেখা হলো ট্রাম্পের? না, ভিডিওটি বেশ পুরনো 

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ভিডিওটির সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ভিডিওটি আসলে ২০১৭ সালের। 

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 09 Nov 2024,
  • अपडेटेड 5:38 PM IST

সালটা ২০১৬। প্রথমবার নির্বাচনে জিতে মার্কিন মসনদে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর ড. মহম্মদ ইউনূস, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, তিনি এই ঘটনাকে 'সূর্য গ্রহণ' ও 'কালো দিনের' সঙ্গে তুলনা করেন। সময়ের চক্র ঘুরে তখনকার নোবেলজয়ী ইউনূস এখন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। আর ট্রাম্প আবারও এসেছেন ক্ষমতায়। এ বার বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকা কূটনৈতিক সম্পর্কের জল কোনদিকে গড়ায় সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। 

এই আবহে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প ও হাসিনা করমর্দন করে বেশ কিছু বাক্য বিনিময় করছেন। ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে যে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে আসার পর শেখ হাসিনা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। 

উদাহরণস্বরূপ, এই ভিডিও ক্লিপটি পোস্ট করে একাধিক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "বিজয়ের মিলন মেলায় ট্রাম্পের সাথে আমাদের নেত্রী।"

 

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ভিডিওটির সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ভিডিওটি আসলে ২০১৭ সালের। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ওই একই ভিডিওর একটি অংশ আমরা দেখতে পাই ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর আপলোড হওয়া একটি ইউটিউব চ্যানেলে। AA News TV নামের এই চ্যানেলের ভিডিওতে ঠিক ৩২ সেকেন্ডের মাথায় হুবহু ওই একই ফ্রেম দেখতে পাওয়া যাবে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। 

এই ভিডিও-র ক্যাপশনে লেখা হয়, "ডোনাল্ড ট্রাম্প কথা বললেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে - জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে।" এর থেকেই কার্যত প্রমাণ হয়ে যায় যে ভিডিওটির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্প্রতি নির্বাচনে জয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

Advertisement

এই প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুযায়ী, ভিডিওটি নিউইর্য়কের জাতিসংঘের যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ হয়। এই সাক্ষাতে রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু নিয়ে দু'জনের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়। 

এই বিষয়ে কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করে বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল ২৪-এর একটি ভিডিওতে এই সাক্ষাৎ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেখা যায়। ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের এই প্রতিবেদনে রয়টার্সকে দেওয়া শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। যেখানে হাসিনাকে বলতে শোনা যায় যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের কোনও প্রত্যাশা নেই। 

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। যা নজর কেড়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। 

২০১৬ সালে কী বলেছিলেন ইউনূস?

প্রথমবার ট্রাম্পের জয়ের পর বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সরাসরি এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, "এই জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।" আবার বেশ কিছু বাংলাদেশি সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্পকেও তীর্যক সুরে বলতে শোনা গিয়েছিল, "ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।"

 

ফ্যাক্ট চেক

দাবি

আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন শেখ হাসিনা। 

ফলাফল

এই ভিডিওটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের। বর্তমানে এমন কোনও সাক্ষাতের খবর নেই। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের नंबर 73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement