Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: অশোক গেহলটের বক্তব্যের সম্পাদিত অংশ বিভ্রান্তিকর দাবির সঙ্গে ভাইরাল

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের একটি ভিডিও কাটছাঁট করে ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 14 May 2022,
  • अपडेटेड 7:48 PM IST

সম্প্রতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার করে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছেন, গেহলট নাকি বলেছেন যে জল থেকে বিদ্যুৎ বেরিয়ে গেলে তা আর চাষের কাজে ব্যবহার করা যায় না। 

ভিডিওটি শেয়ার করে অনেকেই গেহলটকে এক হাত নিয়েছেন। ভিডিওটিতে গেহলটকে হিন্দিতে বলতে শোনা যাচ্ছে, "এই যে বাঁধটি নির্মাণ করা হচ্ছে, তাতে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। এর ফলে জল থেকে বিদ্যুৎ বেরিয়ে যাবে। তারপর সেই জল চাষের জমিতে গেলে তো কোনও লাভই হবে না। কারণ তাতে কোনও শক্তিই থাকছে না।"

অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করে গেহলটের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখছেন যে, তিনি আসলে বলতে কী চাইছেন? 

ইন্ডিয়া টুডে অ্যান্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) তদন্ত করে পেয়েছে যে এই ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। মূল অংশ থেকে কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপ কেটে বিভ্রান্তিকরভাবে একে প্রচার করা হচ্ছে। 

ভাইরাল ভিডিওটির আর্কাইভ এখানে দেখা যাবে। 

আফয়া তদন্ত

অশোক গেহলট ঠিক কী মন্তব্য করেছেন তা জানতে আমরা এই সংক্রান্ত কিওয়ার্ড সার্চ করি। তখন ২০১৮ সালে প্রকাশিত ইন্ডিয়া টুডে-র একটি প্রতিবেদন নজরে পড়ে। 

সেখানে লেখা ছিল, ২০১৮ সালে প্রথমবার গেহলটের বক্তব্যের এই সম্পাদিত অংশটুকু ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু গেহলট কি সত্যি এমন বলেছিলেন? বলেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেটি তাঁর মন্তব্য় ছিল না। এক পুরানো ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি ওই সময় কী ঘটেছিল তার বিবরণ দিচ্ছিলেন। 

এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর গেহলট তাঁর নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পূর্ণাঙ্গ বক্তব্যের ভিডিওটি পোস্ট করেন। এবং সঙ্গে লিখে দেন যে এটাই আসল এবং পূর্ণাঙ্গ ভিডিও। সেখানে গেহলটকে বলতে শোনা যায়, "আমার মনে আছে যখন আমি ছোট ছিলাম, এবং ভাকরা লঙ্গল বাঁধ পণ্ডিত নেহেরু উদ্বোধন করেছিলেন। তখন জনসংঘের (যে দল পরবর্তীকালে বিজেপির রূপ পায়) লোকেরা ঘুরে ঘুরে নেহেরুর নামে বদনাম করতেন।" 

Advertisement

এরপর গেহলট বলেন, "ওরা বলতেন যে বাঁধ তৈরি হওয়ার ফলে জল থেকে বিদ্য়ুৎ চলে যাবে। এমনটা হলে সেই জল আর চাষের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।" অর্থাৎ ভাইরাল পোস্টে যে পুরো ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়নি, তা এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভিডিওটি আসলে কেটেছেঁটে ভাইরাল করা হচ্ছে যা শুনলে মনে হবে গেহলট নিজেই এমনটা বলছেন। 

কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে আমরা খুঁজে পাই যে ২০১২ সালেও একবার কোনও একটি সভায় বক্তব্য রাখার সময় গেহলট এই একই কথা মনে করিয়ে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। এই ভিডিওটি গুজরাট কংগ্রেসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। 

সুতরাং, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি যে কাটছাঁট করে বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। 

(দিল্লি থেকে যশ মিত্তলের ইনপুট-সহ)

ফ্যাক্ট চেক

দাবি

অশোক গেহলট বলছেন যে জল থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করার পর সেই জল আর চাষের কাজে ব্যবহার করা যায় না কারণ তা শক্তি হারিয়ে ফেলে।

ফলাফল

গেহলটের বক্তব্যের ভিডিওটি বিভ্রান্তিকরভাবে মূল অংশ থেকে কেটে শেয়ার করা হচ্ছে। আসলে তিনি ১৯৬৩ সালের কথা বলছিলেন যখন ভাখরা লঙ্গল বাঁধ নিয়ে জনসংঘ এমন গুজব ছড়াত বলে তিনি জানান।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের नंबर 73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement