Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: বিহারে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে হিন্দুদের হাতে মার খেলেন বিজেপি নেতা? জানুন সত্য

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওটি বিহারের নয় এবং এর সঙ্গে বিজেপি, জেডিউই কিংবা এলজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এটি চলতি বছরের ৬ অগস্ট উত্তর প্রদেশের রায়বরেলির সরস মোড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএসএসপি সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর হামলার দৃশ্য। 

সুরাজউদ্দিন মণ্ডল
  • কলকাতা,
  • 28 Oct 2025,
  • अपडेटेड 3:38 PM IST

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি হাতাহাতির ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে পুলিশেরে উপস্থিতিতে বেশ কয়েকজন রাস্তার উপরে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করছেন। অন্যদিকে ভিডিও-র শেষাংশে একটি গাড়ির পাশে গালায় মালা পরিহিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা অপর এক ব্যক্তি পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছেন। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করায় সেখানে উপস্থিত সাধারণ হিন্দুরা বিজেপি নেতাদের বেধড়ক মারধর করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভাইরাল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “বিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতারা  #হিন্দু-মুসলমান বোঝাতেই, হিন্দুরা BJP নেতাকে ধোঁলাই দিল। #সম্প্রীতির বার্তা বিহারবাসী বিজেপি নেতাকে ধোঁলাই দিয়ে  জনগনকে দেখিয়ে দিল।” (সব বানান অপরিবর্তিত)

অন্যদিকে এই একই ভিডিও শেয়ার করে অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বিহারে JDU  আরLJP  র মধ্যে টিকিট নেবার জন্য  চলছে কুরুক্ষেত্র।” পাশাপাশি, ভিডিও-র ফ্রেমের উপরে লিখেছেন, “বিহারে চিরাগ পাসওয়ান আর নিতিশের দলে চলছে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ।” (সব বানান অপরিবর্তিত)

আরও পড়ুন

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওটি বিহারের নয় এবং এর সঙ্গে বিজেপি, জেডিউই কিংবা এলজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এটি চলতি বছরের ৬ অগস্ট উত্তর প্রদেশের রায়বরেলির সরস মোড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএসএসপি সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর হামলার দৃশ্য। 

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে

ভাইরাল ভিডিও এবং দাবির সত্যতা জানতে সেটি থেকে একাধিক কিফ্রেম সংগ্রহ করে সেগুলি গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ২০২৫ সালের ৬ অগস্ট  Live Hindustan-র অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এই একই ঘটনার অন্য ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেই প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের রায়বরেলির সরস মোড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএসএসপি সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর হামলা চালায় দুই যুবক। 

Advertisement

এরপর উক্ত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে পরবর্তী অনুসন্ধান চালালে ভাইরাল ভিডিও-র স্ক্রিনশট-সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেই সব প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ৬ অগস্ট উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএসএসপি সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্য ফতেহপুর যাওয়ার পথে রায়বরেলির সরস মোড়ে সমর্থকদের সঙ্গে দেখা কার জন্য গাড়ি থেকে নামেন। সেই সময় হাতে ফুলের মালা নিয়ে স্বামী প্রসাদ মৌর্যকে স্বাগত জানানোর অজুহাতে শিবম যাদব এবং রোহিত দ্বিবেদী নামক দুই যুবক পিছন থেকে তাঁর উপরে হামলা চালায়। নিজেদের নেতার উপরে হামলা চালানোর পরেই সেখানে উপস্থিত স্বামী প্রসাদ মৌর্যের সমর্থকরা অভিযুক্ত দুই যুবককে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। 

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। অন্যদিকে ওই দুই অভিযুক্তকে মারধরের অভিযোগে স্বামীর সমর্থক দিলীপ কুমার মৌর্য নামক অপর এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি দিলীপ-সহ স্বামীর উপরে আক্রমণকারী ওই দুই অভিযুক্তকেও জেলে পাঠানো হয়। অন্যদিকে স্বামী প্রসাদ মৌর্য তাঁর উপরে হামলার পিছনে করণী সেনাকে দায়ী করেন। পাশাপাশি, যোগী সরকারের আমলে উত্তর প্রদেশে আইন শাসনের পরিবর্তে জঙ্গলরাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন।

এর থেকে প্রমাণ হয় যে, বিহারের বিজেপি নেতাদের মারধর বা টিকিট নিয়ে জেডিউই ও এলজেপি সমর্থকদের মধ্যে বিবাদ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে উত্তর প্রদেশের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও।

Fact Check

Claim

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করায় সেখানে উপস্থিত সাধারণ হিন্দুরা বিজেপি নেতাদের বেধড়ক মারধর করেছে।

Conclusion

ভাইরাল ভিডিওটি বিহারের নয় এবং এর সঙ্গে বিজেপি, জেডিউই কিংবা এলজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। বরং এটি উত্তর প্রদেশের রায়বরেলিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরএসএসপি সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর হামলার দৃশ্য।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement