Advertisement

১৯৪৮ সালের মাড্রাস্ ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের ছবিকে নিয়ে ছড়ানো হলো বিভ্রান্তিকর দাবি

এই ছবিকে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের বলে দাবি করা হয়

VidyasagarVidyasagar
শ্রেয় ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 11 Jul 2021,
  • अपडेटेड 6:30 PM IST

ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর আমাদের দেশের এবং রাজ্যের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ছিলেন। এবারে তাঁকে নিয়ে ছড়ানো হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিভ্রান্তিকর দাবি।

"মোটিভেশন-Motivation" নামক এক ফেসবুক পেজ একটি ছবি পোস্ট  করেছে যেখানে একটি মানুষকে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে যার মাথার চুল দেওয়ালের সাথে বাঁধা। এই পেজ দাবি করেছে যে এই ব্যক্তি আর কেউ নন, স্বয়ং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।

পোস্টের আর্কাইভ আপনারা দেখতে পাবেন এখানে

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি ভিত্তিহীন। আমরা রিভার্স সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্টেজ নিউস ডেইলির এক রিপোর্ট পাই যেখানে বলা হচ্ছে যে এই ছবি মাড্রাস্ ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রের। জানা যাচ্ছে যে সেই সময় ছাত্রদের মনোযোগ যাতে বইয়ের দিকে থাকে তার জন্য তাদের চুল দেওয়ালের সাথে বেঁধে রাখা হতো।

এছাড়া আমরা কীওয়ার্ড সার্চের সাহায্যে দি ফ্রাইডে টাইমস দ্বারা প্রকাশিত খবর  খুঁজে পাই যেখানে একই জিনিস বলা হচ্ছে। অথচ এখানে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়নি। আরো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এবং ইমেজ গ্যালারিতে এই ছবির খোঁজ পাওয়া গেছে যেখানে এই ছবি মাড্রাস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের বলা হচ্ছে। সেই লিঙ্কগুলো আপনারা দেখতে পাবেন এখানে এবং এখানে।  

এরপর আমরা এক ইতিহাস সংক্রান্ত ওয়েবসাইট খুঁজে পাই যেখানে বলা হচ্ছেই যে এই ছবিটি প্রথম প্রকাশিত হয় ভি.এম. ডোরোশেভিকের "ইস্ট এন্ড ওয়ার" বইয়ে। ডোরোশেভিক রাশিয়ার এক সাংবাদিক ছিলেন এবং ব্রিটিশ রাজের সময়কার অনেক ছবি তিনি তুলেছিলেন। বলে হচ্ছে যে এই ছবিটি তার মধ্যেই একটা।

এসব থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ব্যবহার করা ছবিটি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের নয়, মাড্রাস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের।

আরও পড়ুন

Fact Check

Claim

এই ছবিতে যে বসে আছে সেই আর কেউ নন, স্বয়ং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।

Conclusion

এই ছবিটি মাড্রাস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement