Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: বাংলা বলায় শিশুকে কোলে নিয়েই পিঠে পড়ল পুলিশের লাঠি? না, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি আসলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের একটি ঘটনা। এর সঙ্গে বাঙালি বা বাংলা ভাষায় কথা বলার কোনও সম্পর্ক নেই। 

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা ,
  • 05 Aug 2025,
  • अपडेटेड 5:02 PM IST

পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে 'ভাষা আন্দোলন'-এর ডাক দিয়েছেন। কেননা তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। এই আবহে পুলিশের এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে পেটানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ শেয়ার করা হচ্ছে। 

ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, একটি শিশুকে কোলে ধরে থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ একের পর লাঠির আঘাত করে যাচ্ছে। ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "বাংলায় কথা বলার জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অমানবিক অত্যাচার। একজন বাবা তার প্রিয় সন্তান কে নিয়ে। তবুও পুলিশ কী ভাবে মারছে।"

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভাইরাল ভিডিওটি আসলে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের একটি ঘটনা। এর সঙ্গে বাঙালি বা বাংলা ভাষায় কথা বলার কোনও সম্পর্ক নেই। 

আরও পড়ুন

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে 

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে সেই স্ক্রিনশট খোঁজা হলে ওই একই ভিডিও-র বর্ধিত অংশ পাওয়া যায় এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে। ভাইরাল হওয়া অংশটি মূল ভিডিওতে ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের পর দেখা যাবে। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিল।

 

এর থেকে একটা বিষয় প্রমাণ হয়ে যায় যে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলির সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, "কানপুর দেহাত পুলিশ আজ বর্বরতার চরমে পৌঁছে গেছে। প্রতিবাদকারী এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে। কাছেই থাকা এক ব্যক্তি বুকে নিজের ছোট শিশুকে আগলে ছিল, তাকে বেশ কয়েকবার লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। শিশুটিকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই লোকগুলো কি তাদের অনুভূতি বিক্রি করে বাহিনীতে আসে? এগুলো দেখার কেউ আছে???"

এর থেকে অনুমান করা যায় যে আসল ঘটনাটি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কানপুর দেহাত অঞ্চলে ঘটে থাকতে পারে। বিশদে কিওয়ার্ড সার্চ করা হলে এই একই ভিডিও-সহ ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এনডিটিভি-র ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও রিপোর্ট পাওয়া যায়। সেখানেও বলা হয় যে ঘটনাটি কানপুর দেহাত অঞ্চলের জেলা সদর হাসপাতালে ঘটেছে। 

Advertisement

২০২১-এর ১০ ডিসেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এই বিষয়ক একটি খবর প্রকাশ পেয়েছিল। সেই খবরে বলা হয়, যে ব্যক্তিকে এই ভিডিওতে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে তাঁর নাম রাজনীশ শুক্লা। তিনি কানপুর দেহাতের অন্তর্গত আকবরপুরের ওই সদর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানাচ্ছিলেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীরা যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিপেটা শুরু করে। এই ঘটনার পর পুলিশের একজন এসএইচও-কেও সাসপেন্ড করা হয়। 

ঘটনাটি নিয়ে কানপুর দেহাত পুলিশের সরসারি এক্স হ্যান্ডেলেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এই বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনীশ শুক্লা-সহ অন্যান্য কর্মীরা হাসপাতালে ওপিডি বন্ধ রেখে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। এই বিষয়ে পুলিশকে অবগত করা হলে তাঁরা গিয়ে আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা হলে পাল্টা প্রতিবাদীরা পুলিশের উপরই হামলা করে দেয়। ভিডিওতে যাঁকে দেখা যাচ্ছে তিনি রাজনীশ শুক্লার ভাই এবং তিনি বাকিদের উস্কানি দিচ্ছিলেন। 

ফলে সবমিলিয়ে পরিষ্কার হয়ে যায় যে একটি পৃথক ও অসম্পর্কিত ঘটনাকে বাঙালিদের হেনস্তা বলে দাবি করা হয়েছে যা মিথ্যে ও বিভ্রান্তিকর। 

Fact Check

Claim

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলায় কথা বলার কারণে কীভাবে উত্তর প্রদেশের এক ব্যক্তিকে সপুত্র মারছে পুলিশ। 

Conclusion

এই ঘটনাটি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কানপুর দেহাত অঞ্চলের আকবর সদর হাসপাতালের ঘটনা। নীচুতলার কর্মীরা হাসপাতালে ধর্না চালাচ্ছিলেন, যা ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement