এক ফেসবুক ব্যবহারকারী একটি পোস্ট করে দাবি করেছেন, "১৯৪৭--১৯৭৭ কংগ্রেস অধিনে ভারতের পাঁচজন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় হিন্দুদের অসংখ্য, দুর্লভ, অত্যাশ্চর্য্য, চোখ ধাঁধাঁনো, কারুকার্যময় বিশালাকার মন্দির থাকতেও তাজমহল ইউনেস্কোর সপ্তম আশ্চর্য-এর তালিকায়স্থান পেয়েছিল। একই ভাবে আকবর, বাবর,খলজী, ঔরঙজেব, তৈমুরলং, টিপু সুলতান, সাজাহানরুপী ভারত আক্রমণকারী, লক্ষ লক্ষ হিন্দু হত্যাকারীরা আজ ইতিহাসে মহান হলো। অথচ, হিন্দু সাম্রাজ্যগুলোর ইতিহাস পাঠ্য পুস্তকে পড়ানো হয় না।
ইন্ডিয়াটুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে এই পোস্টের দাবি বিভ্রান্তিকর।
তদন্তে নেমে আমারা কিওয়ার্ড সার্চ করে ভারতের শিক্ষামন্ত্রীদের পুর্নাংঙ্গ তালিকা খুঁজে বের করি।
দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনোত্তর ভারতের প্রথম ৩০বছরে - অর্থাৎ ৪৭ থেকে ৭৭ অবধি - চারজন নয়, মোট ১০ জন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে চারজন মুসলমান হলেও বাকিরা সকলে হিন্দু ছিলেন। এই চার মুসলমান সম্প্রদায়ের মন্ত্রীদের মধ্যে নুরুল হাসান আবার পূর্ণমন্ত্রী নয়, রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।'
দ্বিতীয়ত, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় এ দেশের কোন কোন স্থাপত্য জায়গা করে নেবে তা শিক্ষা দপ্তর নয়, তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রক ঠিক করে। এ বছর যেমন কর্ণাটকের হয়সালা মন্দিরের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমার জন্য আবেদন করতে চলেছে এই দপ্তর।
এছাড়া, আইসিএসসি ও সিবিএসসি সহ ভারতের প্রত্যেকটি বোর্ডে গুপ্ত বা মৌর্য সাম্রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ানো হয়ে থাকে।
সুতরাং, এই পোস্টের দাবি যে বিভ্রান্তিকর তা বলাইবাহুল্য।
১৯৪৭ থেকে ৭৭ ভারতের চারজন শিক্ষামন্ত্রীর চারজনই মুসলমান।
১৯৪৭ থেকে ৭৭ অবধি ভারতে মোট ১০ জন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে চারজন মুসলমান হলেও, বাকিরা হিন্দু।