Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: বকরি ইদে নমাজ পড়তে আসা মুসলিমদের আটকালো হিন্দুত্ববাদীরা? ঘটনা পুরনো ও অসম্পর্কিত

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভিডিওটির সঙ্গে বকরি ইদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হওয়া গুরুগ্রামের একটি ঘটনা। 

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 10 Jun 2025,
  • अपडेटेड 3:39 PM IST

গত ৭ জুন বিশ্বজুড়ে বকরি ইদ বা ইদ-উল-আযহা পালন করেছেন বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, বকরি ইদ উপলক্ষে যখন মুসলিমরা রাস্তায় নমাজ পড়তে এসেছিলেন তখন তাদের কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের তরফে আটকে দেওয়া হয়। 

ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "বকরি ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় না*মাজ পড়তে আসা মুস@লিম জনতাকে থামিয়ে দেয় কট্টর হিন্দু ভাইয়েরা...তারা জয় শ্রী রাম স্লোগান দেয় এবং তাদের নামাজ পড়তে দেয় না...এই ধরনের হিন্দুদের প্রতিটি রাজ্যে জেগে ওঠা উচিত...জয় শ্রী রাম...।"

আজতক ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ভিডিওটির সঙ্গে বকরি ইদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে হওয়া গুরুগ্রামের একটি ঘটনা। 

আরও পড়ুন

সত্য উন্মোচন হলো যেভাবে 

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট নিয়ে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ওই একই ভিডিও সিটি ইন্ডিয়া নিউজ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যায়। ভিডিওটি ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর আপলোড করা হয়েছিল। এর থেকে বোঝা যায় যে ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। 

ভিডিওটি আপলোড করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭-এ হিন্দুত্ব গোষ্ঠী নমাজ পাঠে বাধা দিয়েছে। উক্ত বিষয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করা হলে আল জাজিরার একটি রিপোর্ট পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বরের ওই রিপোর্টে থাকা মূল ছবিতে ওই দুই ব্যক্তিকে দেখা যায় যাদের ভাইরাল ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। একই বিষয়ে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর স্ক্রোলেও একটি রিপোর্ট করা হয়েছিল। 

উভয় রিপোর্টে বলা হয়, এই এলাকায় নমাজ পড়া নিয়ে স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি পরপর কয়েক সপ্তাহ যাবৎ আপত্তি তুলছিল। এবং ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর, যে শুক্রবার ছিল, সেদিন জুম্মার নমাজ পড়ার সময় মুসলিমরা একত্র হলে তাদের নমাজে বাধা দেওয়া হয় এবং জয় শ্রী রাম স্লোগান তোলা হয়। খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রামে মসজিদ সংখ্যায় কম থাকায় প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে ১০০টির বেশি চিহ্নিত জায়গায় মুসলিমরা শুক্রবারে জুম্মার নমাজ পড়তেন। এই বাধার পর বিপুল পরিমাণ পুলিশি নিরাপত্তায় নমাজের আয়োজন করা হয়। 

Advertisement

নমাজে বাধা দেওয়ার এই একই ছবি গেটি ইমেজের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে। সেখানে ছবিটি প্রকাশ করে লেখা হয়, সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বাধা দেওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও বেশ শোরগোল ফেলে দেয় এবং দ্য গার্ডিয়ানের মতো সংবাদ মাধ্যমেও খবর প্রকাশ পায়। 

সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের একটি ঘটনাকে সম্প্রতি হওয়া বকরি ইদের সঙ্গে জুড়ে বিভ্রান্তিকর দাবিতে শেয়ার করা হচ্ছে।

Fact Check

Claim

বকরি ইদ উপলক্ষে মুসলিমরা নমাজ পড়তে গেলে তাদের আটকে দেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা।

Conclusion

ভাইরাল ভিডিওটি ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বরের। গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭-এ ঘটনাটি ঘটে। এর সঙ্গে বকরি ইদের কোনও সম্পর্ক নেই। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement