স্বামী বিবেকানন্দ। গোটা বিশ্বের দরবারে বাংলা-বাঙালি এবং সর্বোপরি ভারতীয়দের এক অন্য পরিচিতি তৈরি করেছিলেন যিনি। তাঁর চিন্তা-দর্শন-ভাবনা আজও সমাজকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন। যুব সমাজের প্রতি যাঁর বার্তা ছিল- "ওঠো , জাগো এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থেমো না।"
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে একজন সন্ন্যাসীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যাচ্ছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন জন বিদেশী। ভিডিয়োটি পোস্ট করে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছে যে, সেটি স্বামী বিবেকানন্দের একটি দুর্লভ ভিডিয়ো।
যদিও ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভিডিয়োটি স্বামী বিবেকানন্দের নয়। স্বামী যোগানন্দের (পরমহংস যোগানন্দ)।
কীভাবে এগোল অনুসন্ধান?
ভাইরাল ভিডিয়োটির একটি কিফ্রেমের রিভার্স সার্চ করলে, The University of South Carolina-র ডিজিটাল কালেকশন সাইটের একটি ভিডিয়ো আমরা খুঁজে পাই। ওই ভিডিয়োটির ৩৫ সেকেন্ডে আমরা ভাইরাল ভিডিয়োটির সঙ্গে হুবহু এক রকমের একটি ফ্রেম খুঁজে পাই।
এরপর ওই ভিডিয়োটির ডেসক্রিপশন পার্টে গিয়ে আমরা জানতে পারি, সেটি আসলে স্বামী যোগানন্দের ভিডিয়ো। সম্ভবত ১৯২৩ সালে তাঁর নিউইয়র্ক যাত্রার সময়ে তোলা হয়েছিল।
Ananda Sangha Worldwide নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলেও ভিডিয়োটি একই ব্যাখ্যা-সহ আমরা দেখতে পাই।
Ananda Worldwide নামের একটি ফেসবুক পেজেও একই ভিডিয়ো দেখতে পাওয়া যায়। সেখানেও স্বামী যোগানন্দের নিউইয়র্কের ভিডিয়ো বলেই, সেটাকে পোস্ট করা হয়েছে।
বেলুড় মঠের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে যে ১৮৯৩ সালে বিশ্বধর্ম মহাসভায় যোগ দিতে আমেরিকার শিকাগো শহরে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ এবং ১৯০২ সালের ৪ জুলাই পরলোকে গমন করেছিলেন তিনি।
ফলে এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা দাবিটি ভুল। ভিডিয়োতে সন্ন্যাসীদের বেশে যাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তিনি স্বামী বিবেকানন্দ নন। তিনি আসলে স্বামী যোগানন্দ।
স্বামী বিবেকানন্দের একটি দুর্লভ ভিডিয়ো।
স্বামী বিবেকানন্দ নন, ভিডিয়োতে যাঁকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তিনি স্বামী যোগানন্দ।