প্যালেস্তাইনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে বহু দূতাবাস খালি করেছে ইজরায়েল। মধ্য-প্রাচ্য, বিশেষ করে বাহারিন, জর্ডন ও মরোক্কোর মতো বহুদেশের দূতাবাস খালি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে একটি ভিডিয়ো। যা পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, বাহারিনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে প্যালেস্তাইনের সমর্থকরা। দাউদাউ করে জ্বলছে সম্পূর্ণ দূতাবাস।
ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক টিমের তদন্তে উঠে এসেছে যে ভাইরাল ভিডিয়োটি পুরনো এবং বাহারিনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসে আগুন লাগানোর ভিডিয়ো সেটি নয়।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
বাহারিনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসে সত্যিই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হত তবে তা নিঃসন্দেহে একটা বড় খবর হত। কিন্তু ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড সার্চ করে আমরা এই ধরনের কোনও খবর দেখতে পাইনি।
আরও সার্চ করলে ২০১২ সালে ফেসবুকে আপলোড হওয়া একই ধরেন একটি বাড়ির ছবি আমরা খুঁজে পাই। পোস্টের ক্যাপশন পড়ে মনে করা হচ্ছে ছবিটি কোনও পুলিশ স্টেশনের।
এরপর The Revolution Media Centre নামের একটি বাহারিনের ইউটিউব চ্যানেলে আমরা একই ভিডিয়োর একটু বড় ভার্সান খুঁজে পাই। যা ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আপলোড করা হয়েছিল। ফলে এখন এটা স্পষ্ট যে, ভিডিয়োটি সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাসর সঙ্গে যুদ্ধের নয়। ভিডিয়োতে দেওয়া ক্যাপশন থেকে বোঝা যে, ভিডিয়েটি বাহারিনের রাজধানী শহরের সিকরা এলাকার। ২০১২ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছিল।
শিয়া ও সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে লড়াই ঘিরে ২০১১ সালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাহারিন। স্থানীয় সংবাদপত্র Al Mayadeen-র মতে, ওই সময় অনেকেই সিতরা থানায় হামলা করেছিল। কেউ কেউ বোমাও ব্যাবহার করেছিল থানা জ্বালানোর জন্য। এরপর অনেকেই ধরা পড়েছিলেন এবং তাদের শাস্তিও হয়েছিল।
সুতরাং, এখন এটা স্পষ্ট যে ভাইরাল ভিডিয়োটি পুরনো এবং বাহারিনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসে আগুন লাগানোর ভিডিয়ো সেটি নয়।
বাহারিনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে প্যালেস্তাইনের সমর্থকরা।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পুরনো এবং বাহারিনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসে আগুন লাগানোর ভিডিয়ো সেটি নয়।