Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: ৭ বছর পুরনো শর্ট ফিল্মের ভিডিয়ো শহিদ ফিলিস্তিনে সেনার সেন মুহূর্তের দৃশ্য বলে দাবি

ভিডিয়োটি শেয়ার করে একে চলমান যুদ্ধের সঙ্গে জুড়ে দাবি করা হচ্ছে যে এই যুবকটি এক ফিলিস্তিনি সৈন্য যে এই কথাগুলি বলে শেষে মৃত্যুবরণ করে। 

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 11 Nov 2023,
  • अपडेटेड 4:31 PM IST

ইজরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রক জঙ্গি সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ এখনও চলমান। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ছবি ও ভিডিয়োরও অন্ত নেই। এ বার এই দাবিতে একটি রিল আকারে ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। 

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সেনার পোশাকে থাকা এক যুবক চোখের জল মুছতে মুছতে নিজের মা, ভাইয়ের উদ্দেশ্যে আবেগপ্রবণভাবে কিছু কথা বলে চলেছে। ভিডিয়োটি দেখে অনুমান করা যায় যে ওই যুবক কোনও যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে। ভিডিয়োটি শেয়ার করে একে চলমান যুদ্ধের সঙ্গে জুড়ে দাবি করা হচ্ছে যে এই যুবকটি এক ফিলিস্তিনি সৈন্য যে এই কথাগুলি বলে শেষে মৃত্যুবরণ করে। 

প্রায় ১০ হাজার বার শেয়ার হওয়া ভিডিয়োটির উপর লেখা রয়েছে, "ফিলিস্তিনি শহীদ ভাই এর কিছু কথা।"

আরও পড়ুন

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে পেয়েছে যে ভাইরাল ভিডিয়োটি একটি শর্ট ফিল্মের অংশ। বর্তমান ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিয়োটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করতে আমরা ওই একই ভিডিয়ো একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেখতে পাই। এই ভিডিয়োটি সেখানে শেয়ার করা হয়েছিল ২০২২ সালের মার্চে মাসে ভারতীয় সেনার দাবিতে। এর থেকেই একটা বিষয় দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে এই ভিডিয়োটি কোনও ভাবেই চলমান ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের হওয়া সম্ভব না।

আরেকদফা সার্চ করে এই ভিডিয়োটি আমরা দেখতে পাই দুবাই আর্ন্তজাতিক ফিল্ম ফেস্টিভলের ভ্যারিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে। সেখানে ভিডিয়োটি আপলোড করা হয়েছিল সাত বছর আগে, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর। 

ভিডিয়োটি আপলোড করে এর ক্যাপশনে শর্টফিল্মের নাম উল্লেখ করা হয়, যা ছিল- Dialing. ভিডিয়োটির পয়লা সেকেন্ড থেকেই ভাইরাল হওয়া এই ক্লিপটি দেখা যাবে। 

এরপর আমরা এই বিষয়ে আমরা কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করি এবং গাল্ফ নিউজর একটি প্রতিবেদন দেখতে পাই। ২০১৫ সালে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে যে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিগুলি দেখানো হয়, সেই সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন গাল্ফ নিউজের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছিল। 

Advertisement

সেখানে লেখা হয়, এই ছবিটির নির্দেশকের নাম বাহা আল কাদেমি। বিবরণ অনুযায়ী, ছবিটি এক ইরাকি মা-কে নিয়ে যিনি তাঁর ছেলে যে সেনাবাহিনীতে রয়েছে, তাঁর মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করতে পারেন না এবং ছেলের জন্য সন্ধান চালিয়ে যান। 

অর্থাৎ এ কথা বুঝতে বাকি থাকে না যে ২০১৫ সালের শর্ট ফিল্মের একটি দৃশ্যকে মিথ্যেভাবে ফিলিস্তিনি সেনার দাবি করে শেয়ার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

 

Fact Check

Claim

ভিডিয়োতে এক ফিলিস্তিনি সেনাকে শহিদ হওয়ার আগের মুহূর্তে ভিডিয়ো রেকর্ড করতে দেখা যাচ্ছে।

Conclusion

ভিডিয়োটি একটি শর্টফিল্মের অংশ যা ২০১৫ সালে দুবাই আর্ন্তজাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছিল।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement