Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: ত্রিপুরার মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনাকে বাংলাদেশের শেরপুরের ঘটনা বলে ভুয়ো প্রচার

আজতক ফ্য়াক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং ত্রিপুরার কদমতলা এলাকার মসজিদের ঘটনা। 

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 12 Dec 2024,
  • अपडेटेड 6:42 PM IST

৫ অগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের ঘটনায় ৮৮টি মামলা রুজু করে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন। এই আবহে একটি মসজিদ ভাঙচুরের ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে যে বাংলাদেশের শেরপুরের একটি মসজিদেও নাকি ভাঙচুর চালানো হয়েছে। 

২৫ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে একটি মসজিদের ভিতরে ভাঙচুরের দৃশ্য স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মসজিদের ফ্যানগুলি ভাঙা হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা আসবাব। চতুর্দিক লন্ডভন্ড অবস্থা। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে এটি শেরপুরের ঘটনা।

ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "শেরপুরের মুরশিদপুর দরবার শরীফের মসজিদ এখন আপনার বিবেক কোথায়..?"

আজতক ফ্য়াক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে এই ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং ত্রিপুরার কদমতলা এলাকার মসজিদের ঘটনা। 

কীভাবে জানা গেল সত্যি

ভাইরাল ভিডিওটি থেকে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে তার রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর ওই একই ভিডিও আমরা দেখতে পাই গত ৮ অক্টোবরের একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। সেখানে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয় কদমতলা বাজার মসজিদ। 


এই বিষয়টিকে সূত্র ধরে কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করলে এর একাধিক সংস্করণ ইউটিউব শর্টে এবং এক্স পোস্টেও দেখা যায়। ভিডিওগুলি পোস্ট করে একে ত্রিপুরার কদমতলা মসজিদের ঘটনা বলে বর্ণনা করা হয়। 

গত অক্টোবর মাসে পোস্ট হওয়া ভিডিওগুলির সঙ্গে মেলাতে আমরা গুগল ম্যাপ স্ট্রিট ভিউয়ে ত্রিপুরা কদমতলার ওই একই মসজিদ মিলিয়ে দেখি, এবং উভয় মসজিদের সাদৃশ্য থেকে কার্যত প্রমাণ হয়ে যায় যে আলোচ্য ভিডিওতে থাকা এই মসজিদই ত্রিপুরার কদমতলায় রয়েছে। 

Advertisement

এর পাশাপাশি এই বিষয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করে গত অক্টোবর মাসের বেশ কয়েকটি নিউজ রিপোর্টও পাওয়া যায়।  সেখানে বলা হয়, দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানের জন্য অনুদান নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গত ৬ ও ৭ অক্টোবর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি শিব মন্দির, একটি মসজিদ এবং অনেক দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। কদমতলা মসজিদও শামিল ছিল। ৭ অক্টোবরের পরও ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ছিল বিরাজমান। 

অন্যদিকে, কিওয়ার্ড সার্চ করে জানা যায় যে বাংলাদেশের শেরপুরের মুর্শিদপুর পীরের দরবারে দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা ঘটে নভেম্বর মাসে। এই বিষয়ে বিশদ তথ্য ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত প্রথম আলোর একটি রিপোর্টে পড়া যাবে। 

ফলে এতেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে ত্রিপুরার একটি মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনা পরবর্তী ভিডিওকে বাংলাদেশের শেরপুরে পীরের দরবারে হামলার দৃশ্য বলে বিভ্রান্তিকর দাবি ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

 

ফ্যাক্ট চেক

দাবি

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কীভাবে শেরপুরের মুরশিদপুর দরবার শরীফের মসজিদ ভাঙচুর করা হয়েছে।

ফলাফল

এই ঘটনাটি বাংলাদেশের শেরপুরের নয়। বরং ত্রিপুরার কদমতলা মসজিদের ঘটনা যেখানে গত অক্টোবর মাসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। 

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
আপনার কী মনে হচ্ছে কোনও ম্যাসেজ ভুয়ো ?
সত্যিটা জানতে আমাদের नंबर 73 7000 7000উপর পাঠান.
আপনি আমাদের factcheck@intoday.com এ ই-মেইল করুন
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement