শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সম্প্রতি এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। সেই টুর্নামেন্টেই ঘটেছে আরও একট স্মরণীয় ঘটনা। শচিন টেন্ডুলকরের একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ১৩ হাজার রানের গণ্ডি টপকে গিয়েছেন তিনি। আগে যে রেকর্ড ছিল শচিনের অধীনে, এখন তা কোহলির ঝুলিতে। মাত্র ২৬৭টি ইনিংস খেলে এই রেকর্ড করেছেন তিনি। কিন্তু এরপরই বিরাটকে বিশ্রামে পাঠিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বর্তমানে চলা ভারত-অসট্রেলিয়া সিরিজে দলে নেওয়া হয়নি তাঁকে।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা চলছে। যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্টের একটি বক্তব্য খুব ভাইরাল হয়েছে। প্রাক্তন এই অজি ক্রিকেটার নাকি বলেছেন, "বিরাট কোহলিকে এখন নিয়মিত ওডিআই ক্রিকেটে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করছি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড শচীনের রেকর্ডের পরিবর্তন চাইছে না।" (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)
কিন্তু ইন্ডিয়া টুডে তদন্ত করে দেখেছে যে, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট শচিন টেন্ডুলকরের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা টেনে বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে তোপ দেগে, কোনও মন্তব্যই করেননি। তাঁর নাম ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে।
কীভাবে এগলো অনুসন্ধান?
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট শচিন টেন্ডুলকরের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা করলে বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে তা, ক্রিকেট মহলে বড় খবর হত। সেজন্য তদন্তের শুরুতেই আমরা ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড সার্চের সাহায্য নিই। তবে আমরা এই ধরনের কোনও খবর দেখতে পাইনি।
বরং আমাদের নজরে উল্টো খবরটা পড়ে। যেখানে বলা হয়েছে যে প্রাক্তন এই অজি ক্রিকেটার এমন কোনও মন্তব্য করেননি। Sportskeeda, Wisden.com.
এরপর আরও সার্চ করলে দেখা যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে গিলক্রিস্ট নিজেই জানিয়েছেন যে শচিন ও কোহলিকে তুলনা করে বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে তোপ দেগে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
সুতরাং এখন এটা বলা যায় যে, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট শচিন টেন্ডুলকরের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা টেনে বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে তোপ দেগে, কোনও মন্তব্যই করেননি। তাঁর নাম ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে।
শচিনের রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতেই বারবার বিরাটকে বিশ্রামে পাঠাচ্ছে বিসিসিআই।
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট শচিন টেন্ডুলকরের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা টেনে বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে তোপ দেগে, কোনও মন্তব্যই করেননি। তাঁর নাম ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অভিযোগ করা হচ্ছে।