পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পায়। এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি, শাসক দল তৃণমূলকে দোষারোপ করে এবং কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবী করে। সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্ট রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ এবং তার সঙ্গে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একটি ছবি পোস্ট করে দাবী করে যে বিজেপি নেতারা রাজ্যের নির্বাচনের পর হিংসার ঘটনা নিয়ে ১৪৬ জন বিশিষ্ট নাগরিকের লেখা চিঠি সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন।
ভাইরাল পোস্টটি আর্কাইভ করা হয়েছে এখানে।
ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি-ফেক নিউজ ওয়ার রুম (আফয়া) অনুসন্ধান করে দেখেছে, এটি সত্যি যে ১৪৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু ভাইরাল এই ছবিটির সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সাম্প্রতিক এই চিঠির কোনো সম্পর্ক নেই।
রিভার্স ইমেজ সার্চের সাহায্যে আমরা খুঁজে পাই এই ছবিটি গতবছর বিভিন্ন খবরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে রাজ্য বিজেপির একটি দল রাষ্ট্রপতি ভবনে রামনাথ কোভিন্দ-এর সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফ থেকেও ছবিটি গত বছর ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি টুইট করা হয়।
আমরা এই ছবিটি এবিপি আনন্দ এবং এইসময়ের পত্রিকার ওয়েবসাইটে খুঁজে পাই। গতবছর প্রকাশিত এই প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায় , বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে গঙ্গারামপুরে এক শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনার বিষয়ে নালিশ জানানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হয় ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত তথ্য-প্রমানাদি।
জী ২৪ ঘন্টার একটি প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি গতবছর গঙ্গারামপুরে এক মহিলাকে পায়ে দড়ি বেঁধে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অমল সরকার। এই বিষয়টি নিয়ে শাসক দলকে ঘিরে ধরে বিরোধীপক্ষ।
সুতরাং, ভাইরাল এই ছবিটি গতবছরের, এবং এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হিংসার কোনো সম্পর্ক নেই।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসার বিষয় নিয়ে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা ।
এটি সত্যি যে ১৪৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু ভাইরাল এই ছবিটির সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া সাম্প্রতিক এই চিঠির কোনো সম্পর্ক নেই।