Advertisement

ফ্যাক্ট চেক: ‘সানি লিওনের ছবি দেখতে ভাল লাগে’, এমন কোনও মন্তব্য করেননি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গাঙ্গুলি

বিচারকের আসনে থাকাকালীন দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকার ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক বার সরব হন তিনি। ঘাস-ফুল শিবিরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান বলে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

ঋদ্ধীশ দত্ত
  • কলকাতা,
  • 11 Mar 2024,
  • अपडेटेड 3:20 PM IST

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করে গত ৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সল্টলেকের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় বিচারপতির ভূমিকায় ছিলেন অভিজিৎ। বিচারকের আসনে থাকাকালীন দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকার ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক বার সরব হন তিনি। ঘাস-ফুল শিবিরের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান বলে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পদক্ষেপের পক্ষে ও বিপক্ষে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে। এইসব পোস্টের মধ্য়েই আনন্দবাজার পত্রিকার লোগো দেওয়া একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে প্রাক্তন বিচারপতির বিজেপিতে যোগ দেওয়া ছবি ব্য়বহার করে হেডলাইনে লেখা হয়েছে, “সানি লিওনের ছবি দেখতে ভাল লাগে" একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়"।

যেমন ভাইরাল এই ছবি পোস্ট করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “বুড়ো বয়সে গাঙ্গুলী বলছে সানি লিওনের ছবি দেখতে ভালো লাগে ! , বাকিটা আপনারা বুঝে নিন !”

আরও পড়ুন

একই ছবি ভিডিও আকারে পোস্ট করে অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্যাপশন হিসাবে লিখেছেন, “ #ছিঃ এই বিচারকের #বিচার কে করবে? "কে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? আমি চিনিনা। হ্যা সানি লিয়নকে চিনি,যিনি অনেক দেশাত্মবোধক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। ওনার সিনেমাগুলো আমায় শক্তি দেয়, " বক্তা -অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।” (সকল ক্যাপশনের বানান অপরিবর্তিত)

ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে ছবিটি ভুয়ো। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এহেন কোনও মন্তব্য কোথাও করেননি।

যেভাবে জানা গেল সত্য

আমরা প্রথমে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ভাইরাল ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করি। সেখানে কিওয়ার্ড হিসাবে আমরা ভাইরাল ওই ছবির হেডলাইনটি ব্য়বহার করি। কিন্তু সেই সার্চে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এমন কোনও প্রতিবেদন আমরা খুঁজে পাইনি। কোনও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রতিষ্ঠানেই এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট ছিল না। যা থেকে আন্দাজ করা যায় যে এই স্ক্রিনশট ভুয়ো হতে পারে।

Advertisement

এরপরে আমরা ভাইরাল খবরের শিরোনামের ফন্টের সঙ্গে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা ই-পেপার ও ‘আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন’-এর আসল প্রতিবেদনের ফন্ট ও অন্যান্য বিষয়গুলি তুলনা করি।  সেখানে আমরা লক্ষ্য় করি, আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের উপর অংশে লাল গ্রাফিক্স-সহ ‘আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন’ পুরো নামটি ব্য়বহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ভাইরাল প্রতিবেদনের সময় ও তারিখের অংশে সুস্পষ্ট তথ্যের অভাব লক্ষ্য করা গেছে। যা আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন কিংবা আনন্দবাজার পত্রিকার ই-পেপারে প্রকাশিত কোনও প্রতিবেদনের দৃশ্যের সঙ্গে মেলে না। আসল প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে প্রকাশনার দিনক্ষণ ও সময় খুব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা থাকে।

একই সঙ্গে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য়ণীয়, আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সব প্রতিবেদনের শিরোনামে একক বা একটি করে উর্ধ্বকমা ব্য়বহার করা হয়। সেখানে ভাইরাল প্রতিবেদনের হেডলাইনে দুটি উর্ধ্বকমা ব্য়বহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, অভিজিতের তথাকথিত উক্তি-যুক্ত প্রথম বাক্য শেষ হওয়ার পর একটি কমা ব্যবহার হওয়া উচিত, তাও ভাইরাল প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটে দেখা যায়নি।

সুতরাং,সকল বিষয়গুলি ভালভাবে নিরীক্ষণ করে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে ভাইরাল প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটটি সম্পাদিত। অর্থাৎ আনন্দবাজার পত্রিকার নাম দিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাতেই এই ছবিটি ব্য়বহার করা হয়েছে।

স্টোরি: সুরজ উদ্দিন মণ্ডল

 

Fact Check

Claim

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উক্তি- ‘সানি লিওনের ছবি দেখতে ভাল লাগে’।

Conclusion

ভাইরাল ছবিটি সম্পাদিত। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সানি লিওনের ছবি দেখতে ভাল লাগে’ সংক্রান্ত এমন কোনও প্রতিবেদন আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। এই উক্তিটিও পুরোপুরি মনগড়া।

ঝুট বোলে কাউয়া কাটে

যত বেশি কাক তত বেশি মিথ্যে

  1. কাক: অর্ধসত্য
  2. একাধিক কাক: বেশির ভাগ মিথ্যে
  3. অনেক কাক: সম্পূর্ণ মিথ্যে
Do you think a messenge is a fake ?
To know the truth, send that to our Number73 7000 7000 you can email on factcheck@intoday.com
Read more!
Advertisement
Advertisement