রবিবার অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৪৪। সোমবার ৪৩৯। শেষে ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন।
শুধুমাত্র কলকাতাতেই সংক্রমিত সংখ্য ১৯৫৪। পাঁচশোর কাছাকাছি সংক্রমণ উত্তর ২৪ পরগনায়। আক্রান্ত ৪৯৬। ২৯৮ জন সংক্রামিত হাওড়ায়। কার্যত তৃতীয় ঢেউ আসার সঙ্কেত দিচ্ছে করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্র।
শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যন বলছে, রাজ্যে করোন আক্রান্ত ৩,৪৫১। মৃত ৭। সক্রিয় করোনা রোগী ১০ হাজার ৭১০ জন। সংক্রমণ হার ৮.৪৬ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ১৮৩।
রবিবার রাজ্যে ৫৪৪ জন সংক্রামিত হয়েছিলেন। বুধবার প্রথম তা হাজার পার করে। তাও গত ৪ জুলাইয়ের পর। আক্রান্ত ১০৮৯। বৃহস্পতিবার লাফিয়ে দু'হাজারের ঘর পার করে করোনা। আক্রান্ত ২১২৮। শুক্রবার ৩ হাজারের ঘরে চলে গেল রাজ্যের সংক্রমণ।
সমানুপাতে বাড়ছে রাজ্য়ের সংক্রমণ হারও। রবিবার ২২ হাজার ৫৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। সংক্রমণ হার ছিল ২.৪১। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪০ হাজার ৮১৩ জনের। সংক্রমণ হার বেড়ে হয়েছে ৮.৪৬ শতাংশ।
কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলিতেও বাড়ছে করোনা। সোমবার কলকাতায় সংক্রামিত হয়েছিলেন ২১৯ জন। সেটাই কয়েক দিনের ব্যবধানে শুক্রবার বেড়ে হয়ে গিয়েছে ১৯৫৪। অর্থাৎ কয়েক গুণ বৃদ্ধি সংক্রমণে। হাওড়া, হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যথাক্রমে ২৯৮, ১১৮, ৪৯৬ ও ১২৬। উত্তরে মালদায় আক্রান্ত ৬০।
দেশজুড়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এর মধ্যেই ২৫ ডিসেম্বর শহর ভেঙে পড়েছিল পার্ক স্ট্রিটে। সেই ভিড় থেকে আঁতকে উঠেছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন,'এখনও সময় আছে। শীঘ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সচেতন হতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ভিড়।'