Cyclone Gulab: ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'-এর দাপটে রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়বে না। রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি হবে ৪ দিন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর ভাগ এবং ওড়িশা উপকূলের দক্ষিণ অংশে আছড়ে পড়তে পারে গুলাব। প্রতি ঘণ্টায় ৭৫-৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছতে পারে ৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এটা ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশে আজ রাতে আছড়ে পড়বে। কলিঙ্গপত্তনম, গোপালপুর আঘাত হানবে।
পশ্চিমবঙ্গে তেমন প্রভাব পড়বে না। রবিবার বিকেলের পর থেকে উপকূলে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হাওয়া বইবে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে।
মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। যতক্ষণ না বলা হয়, তাঁদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিক্ষিপ্ত ভাবে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। দু'টি জেলায় বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা বেশি বৃষ্টি। সেখানকার দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। তবে সব জায়গায় বেশি নয়।
২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর দু'দিন বৃষ্টি হবে। তবে বেশি বৃষ্টি হবে ২৮ তারিখে। দক্ষিণের সব সব জেলায় হবে। ভারী হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায়।
২৯ তারিখ বৃষ্টি পশ্চিমের জেলাতে বেশি হবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে।
সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে ভাল বৃষ্টি পেয়েছি। অনেক জায়গায় জল জমতে পারে। নদীর জল বেড়ে যেতে পারে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আরও হতে পারে।
গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ বৃষ্টি হয়েছে। আর এর জেরে সমস্যাও কম হয়নি। অনেক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। অনেক জায়গায় এখনও জল নামেনি। বাইরের বাইরে বেরোতে পারছেন না অনেকে। কাজের জন্য বা অন্য কোনও দরকারে বাড়ির বাইরে বাড়ির বাইরে যেতে প্রবল সমস্যা হচ্ছে তাদের। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এর মাঝে ফের বৃষ্টি সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন।