Monalisa Das TMC Minister Partha Chatterjee: এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে রাজ্যে তল্লাশি শুরু করেছিল ইডি। শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পাশাপাশি আরও অনেক জায়গায় অভিযান চালায়।
পরে পার্থবাবুকে গ্রেফতার করে ইডি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তের সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর পার্থর 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত আরও একজনের সন্ধান মিলেছে। তাঁর নাম মোনালিসা দাস। তিনি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান। জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনে পার্থবাবুর সম্পত্তি দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। শনিবার তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যাঁকে নিয়ে আলোচনা সেই অর্পিতা চিনতেন পার্থবাবুকে? সে ব্যাপারে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এই সব কোম্পানিতে এলআইসি-র বিশাল লগ্নি, কোনটাতে সবথেকে বেশি?
আরও পড়ুন: গুগলের 'ভুল' ধরায় ইনাম ৬৫.৭৯ কোটি, ইন্দোরের অমন পাণ্ডে সবথেকে বেশি
আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট 'ঝুমা বউদি' Monalisa-র, Viral
এদিন মোনালিসা দাবি করেন, আমি নিজে জানি আমি খুব সততার জায়গাতেই রয়েছি। বাকি যে কথাগুলো হচ্ছে, সেগুলো নিতান্ত অমূলক। কে বলছেন, কী ভাবে বলছেন, সেভাবে তো আমি কিছু বলতে পারব না।
তিনি বলেন, "শুধু এটুকু বলতে পারি, আমার অর্জন, আমার পড়াশোনা, আমার ছাত্রী, আমার সব কিছুর বিষয়ে আমি ভীষণ ভাবে সৎ।"
তিনি আরও দাবি করেন, শিক্ষামন্ত্রী তিনি শিক্ষা দফতরে ছিলেন, আমি একজন শিক্ষক। শিক্ষার কাজে কখনও যোগাযোগ হতেই পারে। এর থেকে বেশি কিছু নয়। তিনি আমার গুরুজন। তিন অভিভাবক, অনেক মান্য ব্য়ক্তি। আমার মতো সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে কেবলই একজন শিক্ষক এবং অভিভাবন সম্পর্ক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত মোনালিসা দাস ইডি রাডারে রয়েছে। এমনই দাবি করল বিজেপি দাবি করেছে। এদিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, ইডি-র রাডারের থাকা আর এক ব্যক্তি হলেন মোনালিসা। যাঁর নামে ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গেও যুক্ত।
তাঁর কটাক্ষ, গ্রেফতারের পরে টিএমসি অর্থের যোগসূত্র অস্বীকার করছে। সম্ভবত কাল তারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসূত্র অস্বীকার করবে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেন মোনালিসা। এখন তিনি সেই বিভাগের প্রধান। তাঁর নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ উঠেছিল। আরও জানা গিয়েছে, মোনালিসার বাড়ি শান্তিনিকেতনে। অভিযোগ তিনি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন না।
তাঁর নিয়োগে পার্থবাবুর 'বিশেষ ভূমিকা' ছিল বলে অভিযোগ। মোনালিসার নানে ১০টি ফ্ল্যাট রয়েছে।
কে এই মোনালিসা?
বিশ্ববিদ্য়ালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। পরে প্রধান হন। গত ৫ বছর ধরে আসানসোলের এসবিআই গড়াই রোডে বিবেকান্দ পল্লিতে থাকেন তিনি। এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি নিয়মিত আসতেন না। মাসে ৩ দিন বা ৪ দিন আসতেন।
তিনি সেখানে একাই থাকতেন। তৃণমূলের কোনও নেতানেত্রীর যাতায়াত সেখানে ছিল না। বাড়ির মালিক জানান, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে কখন তিনি সেখানে আসতে দেখেননি।। ২ সপ্তাহ আগে মোনালিসা সেখানে যান। তবে তারপর আর আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিয়মিত আসতেন না। প্রয়োজন পড়লে যেতেন। তারপর আসার কলকাতায় ফিরে যেতেন। ৫ বছর ধরে সেখানে ভাড়া থাকেন তিনি।
প্রচুর সম্পত্তির হদিশ
মোনালিসার প্রচুর সম্পদের কথা জানা গিয়েছে বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে। এ পর্যন্ত মোনালিসার অনেক ফ্ল্যাট ও জমির কথা প্রকাশ্যে এসেছে। পার্থবাবুর সঙ্গে এই সম্পত্তিগুলো কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন ইডি তদন্তকারীরা।