এ যেন এক অদৃশ্য মানবশৃঙ্খল। প্রতিবাদী মন একে অপরের সঙ্গে জুড়ে গেছে।
কাউকে অনুরোধ করতে হচ্ছে না, আর্জি জানাতে হচ্ছে না। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে লক্ষ লক্ষ সামিল হয়ে গিয়েছেন প্রতিবাদে।
বুধবার রাত ৯টা বাজতেই পাড়ায়, পাড়ায়, আবাসনে, বাড়িতে, দোকানে লাইট বন্ধ হয়ে গেল।
অন্ধকার রাত ঢেকে দেওয়ার জোরালো এবং ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা হল প্রতিবাদের সেই আলো জ্বালিয়ে।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এর আগে গত ১৪ অগস্ট রাত দখলে নেমে পড়েছিলেন শহরবাসী।
সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ থেকে স্কুল পড়ুয়া শিশু— কেউই বাকি ছিলেন না সেই জমায়েতে। বুধবার রাতে অনেকটা সেভাবেই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে পড়লেন হাজার হাজার শহরবাসী।
আরজি কর হাসপাতালের সামনে, যাদবপুরে ৮বি বাসস্ট্যান্ডে, বিশ্ববাংলা মোড়ে রাত ৮টা থেকেই জমায়েত শুরু হয়ে গেল।
কলকাতায় এহেন প্রতিবাদ অভিনব শুধু নয়, অভূতপূর্বও বটে।
ভিড়ের সঙ্গে মিশে গেলেন হাজার হাজার বয়স্ক মানুষও। সুর চড়ালেন,”উই ওয়ান্ট জাস্টিস…।”
এ ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ কলকাতা তথা বাংলায় বেনজির। অতীতে এমন কখনও হয়নি।
রাত ৯টায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। আঁধারে ঢাকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর-সহ শহরের প্রায় বিভিন্ন প্রান্ত।
আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয় গোটা রাজ্য।