রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার প্রথম ভবানীপুরে প্রচারে যান সুকান্ত মজুমদার। আর প্রথম দিনের প্রচারেই তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়।
BJP-র মিছিল মিত্র ইন্সটিটিউশন থেকে বেরিয়ে বলরাম ঘোষ স্ট্রিট হয়ে পৌঁছায় হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মুখে। এই এলাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেখানেই মিছিলে বাঁধা দেয় পুলিশ।
ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সুকান্ত মজুমদার বলেন, তাঁদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এটা তার প্রমাণ।
সুকান্তবাবুর কথায়, 'নরেন্দ্র মোদির উপর ভরসা রেখে মানুষ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ভোট দেবেন। আমরা জয় নিয়ে সম্পূর্ণ আশাবাদী।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালও। তিনি বলেন, 'উনি ভয় পেয়েছেন। আগের ভোটে নিজের এলাকা থেকেই হেরেছিলেন। সেই কারণে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।'
এদিন ভবানীপুরের রামমোহন দত্ত রোডে প্রচার করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
তিনি বলেন, 'জোর কদমে প্রচার চলছে। আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। কী ইস্যু আর কী নয়, তা নিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। ভোটাররা সন জানেন। আমি আশাবাদী, আমাদের প্রার্থীর জয়ের বিষয়ে।'
সূত্রের খবর, তাঁদের প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারে BJP। যদিও বিজেপির অভিযোগকে আমল দিতে রাজি নয় তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, আসলে ভোটে হেরে যাবেন প্রিয়াঙ্কা। তা জেনেই অহেতুক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।