পুজো শেষ হতেই রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে Corona-র সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক নবান্ন। তাদের তরফে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হল।
হাওড়া ও হুগলি জেলার একাধিক জায়গাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করা হল। এই জোন তৈরির বিষয়ে জোর দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
পাশাপাশি ৩টে 'T' অর্থাৎ টেস্টিং, ট্র্যাকিং ও ট্রিটমেন্টের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
শনিবার Corona নিয়ে রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে এই নির্দেশ দেন তিনি।
হাওড়া ও হুগলি ছাড়াও কলকাতা, মালদা, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম বর্ধমান ও দার্জিলিং, এই জেলাগুলোতেও সংক্রমণের হার বাড়ছে। ফলে এই জেলাগুলোর জেলাশাসকদের আলাদা করে নির্দেশ পাঠিয়েছে নবান্ন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবার প্রয়োজন অনুযায়ী কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে হবে। মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করতেই হবে।
টিকাকরণের হার বাড়াতে হবে। হাসপাতালগুলিতে কোভিড ফেসিলিটির পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি নতুন ও ক্রিটিক্যাল রোগীদের জন্য ব্যবস্থা তৈরি রাখতে হবে।
সঠিকভাবে করোনা পজিটিভ রোগীদের ট্র্যাক করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোন কোন জায়গাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে? হাওড়া পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডের ১৪টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে, আন্দুল রোড, ধর্মতলা লেন, শিবপুর রোড ইত্যাদি।
হুগলির ১২ টা ব্লকের ২৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ৭ টি পুরসভার বিভিন্ন এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য প্রশাসন।