জেলায় জেলায় নামছে তাপমাত্রা। কোনও কোনও জেলাতে তো আবার ২০ ডিগ্রির আশপাশেও ঘোরাফেরা করছে তাপমাত্রা। এমনিতেই প্রতিবার কালীপুজোর সময় থেকেই কার্যত ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব এসে যায়।
এবছর কালীপুজো বেশ দেরিতে। তবে শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যত দিন যাবে ততই ঠান্ডা বাড়বে।
রাতের দিকেও বেশ শিরশিরানি ভাব অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে এই শিরশিরানি ভাব বেশি বোঝা যাচ্ছে।
এছাড়াও হাওড়া-হুগলি-দুই ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বাদ নেই কলকাতাও।
এবার কি জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে ? তারই কি ইঙ্গিত দিচ্ছে এই শিরশিরানি ভাব ? আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তুরে হাওয়া আসতে শুরু করেছে, সেটা অনুভূত হচ্ছে। রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে পূবালী হাওয়া।
গতবার অর্থাৎ ২০২২ সালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। যা ছিল রেকর্ড।
আবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন হয়েছিল ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞানীদের মতে, যত দিন যাচ্ছে ততই পরিবেশ দূষণের হার বাড়ছে। ফলে খামখেয়ালিপনা দেখা যাচ্ছে অবহাওয়ার।
গরমের সময় যেমন প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে, একইভাবে শীতও বাড়ছে নানা জায়গাতে।
তাই এবার রাজ্যে শীত গতবারের তুলনায় বেশি পড়তে পারে। অর্থাৎ কলকাতার তাপমাত্রা নামতে পারে ১০.৯ ডিগ্রিরও কম। স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা তাহলে আরও কমবে।