Advertisement

Kasba Death: কসবা কাণ্ডে কেন মামা-মামি গ্রেফতার? 'পাওনাদারদের উত্‍পাত' রয়েছে সুইসাইড নোটে

কসবার হালতুতে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হলেন মৃতের মামা এবং মামি। তাঁদের নাম প্রদীপকুমার ঘোষাল ও নীলিমা ঘোষাল। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ রয়েছে।

কসবা কাণ্ডে কেন মামা-মামি গ্রেফতার? 'পাওনাদারদের উত্‍পাত' রয়েছে সুইসাইড নোটেকসবা কাণ্ডে কেন মামা-মামি গ্রেফতার? 'পাওনাদারদের উত্‍পাত' রয়েছে সুইসাইড নোটে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Mar 2025,
  • अपडेटेड 9:53 AM IST
  • কসবা থানায় অভিযোগ দায়েক করেছেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক
  • আরেকটি অভিযোগে সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন

কসবার হালতুতে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হলেন মৃতের মামা এবং মামি। তাঁদের নাম প্রদীপকুমার ঘোষাল ও নীলিমা ঘোষাল। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি খুনের অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কসবার হালতুতে সোমনাথ রায়, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় ও তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীলের দেহ উদ্ধার হয়। ছেলের দেহ নিজের সঙ্গে বেঁধে গলায় দড়ি দিয়েছিলেন সোমনাথ। তাঁর স্ত্রীও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সোমনাথের শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। ঘরের দেওয়ালে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন সোমনাথ। তাতে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কথা উল্লেখ রয়েছে। এর পরেই সোমনাথের মামা-মামিকে থানায় আটক করে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

কসবা থানায় অভিযোগ দায়েক করেছেন মৃত সুমিত্রার দিদি সুপর্ণা ভৌমিক। তিনি সোমনাথের মামা প্রদীপ, মামি নীলিমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। আরেকটি অভিযোগে সুমিত্রার বাবা বিশ্বনাথ ভৌমিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে কসবার পূর্বপল্লির একটি বাড়ি থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, এটা আত্মহত্যারই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোমনাথ এখানে দীর্ঘদিন ধরেই থাকতেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল। তবে শিশুপুত্র রুদ্রনীল অসুস্থ ছিল। সেজন্য তার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তবে তাদের যে এই পরিণতি হবে তা টের পাননি প্রতিবেশীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায় ঘরের ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে সোমনাথ ও সুমিত্রা। সোমনাথের কোলে তাঁর শিশুপুত্র।

আরও পড়ুন

একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। তাতেই মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি। শিশুপুত্রকে খুন করার পরই নিজেদের শেষ করে তাঁরা। যদিও স্থানীয়দের একাংশ আবার দাবি করেন, সোমনাথের বাড়িতে পাওনাদারও আসত। সুইসাইড নোটেও পাওনাদারদের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই মৃত্যুর নেপথ্যে আর্থিক অনটনের বিষয়টি রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement